বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে নারায়ণগঞ্জে দাফন করা হয়েছে

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে নারায়ণগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। সোনারগাঁও উপজেলার সম্ভুপুরা এলাকার হোসেনপুর স্কুলের পাশের কবরস্থানে আজ রোববার ভোরে দাফন করা হয় তাকে। আবদুল মাজেদের শ্বশুরবাড়ি ওই এলাকায়।
এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
সোনারগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম জানান, মাজেদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয়ভাবে করা হয়েছে।
ইউএনও আরো জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়নি। সকালে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জানতে পেরে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানান, দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স মাজেদের মরদেহ এনে দাফনের পর চলে যায়।
এদিকে ৪৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয় বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি রায়। মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের পর পাঁচ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর তার মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।
এ নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ১২ আসামির মধ্যে ছয়জনের রায় কার্যকর করা হলো। এক আসামি জিম্বাবুয়েতে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে মারা যায়। আর পলাতক রয়েছে আরো পাঁচ আসামি। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থান জানা নেই কারো। বাকি দুজনের একজন যুক্তরাষ্ট্রে ও অপরজন কানাডায় রয়েছে। খুনি মাজেদও দীর্ঘ দুই দশক পালিয়ে ছিলেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
গত ৭ এপ্রিল রাতে আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পর বাকি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে গতকাল তার পরিবারের সদস্যরারা মাজেদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়। এরপর রাত ১১টার পর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলার ডিসি আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মারুফ হোসেন সরদার। এর আগে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। রাত ১১টার দিকে কারা মসজিদের ইমাম মাজেদকে তওবা পাঠ করান।
রাত ১২টা বাজার কিছু সময় আগে মাজেদকে কনডেম সেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে। সেখানে রাত ১২ টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।