ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর’ ১১ সদস্য গ্রেপ্তার

ডাকাতির প্রস্তুতির সময় সাভারের বালিয়ারপুর মহাসড়ক থেকে ‘ঠান্ডা-শামীম বাহিনী’র ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়। সাভার থানার বলিয়ারপুর এলাকায় শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—‘ঠান্ডা-শামীম’ বাহিনীর মূলহোতা মো. শামিম ওরফে সব্দুল, মো. আনিসুর রহমান ওরফে ঠান্ডা, মো. সালাউদ্দিন, মো. ইখতিয়ার উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর সরকার, মো. সজিব ইসলাম, মো. জীবন সরকার, স্বপন চন্দ্র রায়, মো. মিনহাজুর ইসলাম ও মাধব চন্দ্র সরকার।
আজ শনিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, পাইপগান, ওয়ান শুটারগান, গুলি, ম্যাগাজিন, চাইনিজ কুড়াল, দেশীয় নানা অস্ত্র এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়—ঠান্ডা-শামীম বাহিনীর মূলহোতা শামীম ওরফে সব্দুল এবং তাদের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠান্ডা। তাদের নাম অনুসারে বাহিনীর নাম রাখা হয় ঠান্ডা-শামীম বাহিনী। এ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহ ডাকাতি, সড়ক ডাকাতি, গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরুবাহী ট্রাক, মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ডাকাতির অভিযোগে শামীম ও ঠান্ডা একাধিক বার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়েছে। জেলহাজতে থাকার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে উঠে। জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। এ ছাড়া যে এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে, সে এলাকার ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, গুদামের কর্মচারী ও নৈশ প্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতি করে।
খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তার করা শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি ডাকাতি মামলা এবং আনিসুর ওরফে ঠান্ডার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের পাঁচটি মামলা রয়েছে।