বাগেরহাটে ডাকাতির মালামালসহ ৯ জন গ্রেপ্তার

বাগেরহাটের ফকিরহাটে হ্যামকো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনায় মালামালসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তৌহিদুল আরিফ তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ফরিদপুরে কালামৃধা গ্রামের স্বপন হোসেন (৩২), বরিশালের পতিহার পূর্বপাড়ার মো. জলিল খান ওরফে মাসুদ (৪৫), রাজবাড়ির রামকান্তপুরের জয়নাল ফকির ওরফে জিয়া ফকির ওরফে জিয়া হাজারী ওরফে জিয়া ভান্ডারী (৪৫), চাঁদপুর জেলার ঢাকিরগাঁওয়ের মো. ইকবাল হোসেন ওরফে সুমন (৩৫), ভোলার তারাগাজীর আল আমিন (৩৬), চট্টগ্রামের দক্ষিণ মানিকপুর গ্রামের মো. গোলাম মুর্তুজা (৩৬), একই জেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৫), বাগেরহাটে ফকিরহাটের বৈলতলী গ্রামের মো. আব্দুর রহমান (৪২) ও খুলনার রুপসা থানার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের মো. রহমত শেখ।
এসপি তৌহিদুল আরিফ জানান, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হ্যামকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ্যানজিন মেলালে ডাকাতি করে। এ সময় নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের বেঁধে রেখে এক কোটি টাকার বেশি মূল্যে মালামাল ও জিনিসপত্র ট্রাকে ভরে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তাদের ডাকাতি করে নেওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম বার ১০ টন, তামার তার আড়াই টন এবং বৈদ্যুতিক তার ১ টন।
পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছে থেকে ডাকাতি করে নেওয়া অ্যালুমিনিয়ামের বারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বাগেরহাটের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, যেগুলোর আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার বেশি। ডাকাতি করে নেওয়া মালামাল তারা চট্টগ্রামে বিক্রি করে দিয়েছিল। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল দুজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তৌহিদুল আরিফ আরও জানান, এ ঘটনায় ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশের পাশাপাশি বাগেরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ডাকাতি হওয়ার পাঁচ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরপর তাদের বাগেরহাট আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।