গাজীপুরে কাজের লোক সেজে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৯

গাজীপুরে কাজের লোক সেজে চলত ডাকাতি। মহানগরীর পূবাইলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিন বাড়িতে ঘটেছে এমন ঘটনা। সেই ঘটনায় দুই স্ত্রী ও বোনসহ আন্তজেলা ডাকাতদলের নয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা ডাকাতদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ এসব তথ্য জানিয়েছেন উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ- দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ।
গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ লুটের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা কাজের লোকের ছদ্মবেশে বিভিন্ন বাসাবাড়ির খোঁজ নিয়ে ছক কষে ডাকাতি করে আসছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামের রবি দাস (৪৫), মাদারীপুরের পাঁচ্চর এলাকার ফারুক (৩৫), ফারুকের স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩০) ও নার্গিস আক্তার (২৫), ফারুকের বোন রিনা আক্তার (৫০), সুনামগঞ্জের চন্দ্রপুর এলাকার ইমন উদ্দিন (২৫), কিশোরগঞ্জের গাগটিয়া আটরা এলাকার চন্দন চন্দ্র দাস (৩৬), গাজীপুর মহানগরীর শরীফপুর এলাকার হাবিবুর (৪৮) এবং নোয়াখালীর চরকাঁকড়া এলাকার জসিম (৪৫)।
পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলের ছিকোলিয়া এলাকায় বাদল দাশের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর দুদিন পর তালোটিয়ার মজিবুর রহমান ও চলতি মাসের ৭ তারিখে হারাধন চন্দ্র শীলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, এসব ডাকাতির ঘটনার রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন পুলিশ। গত কয়েক দিনে পুলিশ গাজীপুরসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে সহযোগী তিন নারীসহ নয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যে ডাকাতি করা টাকা, স্বর্ণালংকার, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, পিতলের দুটি মূর্তিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত রামদা, কাউয়াল ও সেলাইরেঞ্জ জব্ধ করা হয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই আন্তজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁরা জেলখানায় পরস্পরের সঙ্গে পরিচয়ের পর সংগঠিত হন।
জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে কাজের লোকের ছদ্মবেশে খোঁজখবর নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন।