গাজায় ‘নজিরবিহীন শক্তি’ প্রয়োগের হুমকি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা শহরে ‘নজিরবিহীন শক্তি’ নিয়ে অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবং বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রে তাদের স্থল অভিযান জোরদার করছে। খবর এএফপির।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি এখন বিধ্বস্ত এবং গাজা শহর জাতিসংঘের দৃষ্টিতে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েল গাজা শহর দখল করার লক্ষ্যে সেখানে বিমান হামলার পাশাপাশি ট্যাঙ্ক নিয়েও হামলা চালাচ্ছে।
এই হামলা এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি পশ্চিমা সরকার আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের এক শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
গত মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের স্থল অভিযান শুরু করেছে এবং বেশ কয়েক দিন ধরেই বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে।
গাজা সিটির পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি খালেদ আল-মাজদালাউই বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা দক্ষিণে সরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু কোনো যানবাহন খুঁজে পাচ্ছি না।’ তিনি এ সময় সেখানে অবিরাম গোলাগুলির বর্ণনা দেন।
৩২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বলেন, ‘অবশেষে আজ সকালে আমরা যাওয়ার একটি পথ খুঁজে পেয়েছিলাম। আমরা আমাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি এবং চালকও আমাদের ফোন ধরছেন না।’
জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, আগস্টের শেষে গাজা শহর এবং এর আশেপাশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করছিল।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের অনুমান, আগস্টের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
সামরিক বাহিনীর আরবিভাষী মুখপাত্র আভিচাই আদরাই শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে গাজা শহরের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার একটি অস্থায়ী পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এখন দক্ষিণে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো ভূমধ্যসাগরের উপকূল ধরে থাকা আল-রশিদ সড়ক।
আদরাই আরও বলেন, সামরিক বাহিনী হামাস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শক্তি নিয়ে অভিযান চালিয়ে যাবে।