ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও পাঁচ দেশ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের আরও পাঁচ দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে আন্দোরা, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও মোনাকো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। খবর আল জাজিরার।
এর আগে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগালের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ ফ্রান্স।
এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বেড়েছে, বিশেষ করে গাজায় অব্যাহত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে।
স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড গত বছর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সম্মেলনে বলেন, “গণহত্যার শিকার কোনো জাতির ওপর দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের স্বার্থে আমাদের এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।”
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ভিডিও বার্তায় স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সম্মেলনটি বয়কট করে। ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত একে “সার্কাস” আখ্যা দেন। মার্কিন প্রশাসন দাবি করছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানেই হামাসকে পুরস্কৃত করা।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র মর্যাদা কোনো পুরস্কার নয়, এটি তাদের মৌলিক অধিকার।” সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন ও অপরাধের নিন্দা জানিয়ে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকেই একমাত্র স্থায়ী শান্তির পথ হিসেবে উল্লেখ করেন।