আগামী সপ্তাহে মস্কো সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফর করবেন।
স্থানীয় সময় রোববার (৩ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমার ধারণা, উইটকফ আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার রাশিয়া যাবেন।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, এমন একটা চুক্তি হোক যাতে মানুষ মারা যাওয়া বন্ধ হয়।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়ার ওপর “খুবই কঠোর শুল্ক” আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প আরও জানান, রুশ সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ-এর সঙ্গে অনলাইনে বাকবিতণ্ডার পর তিনি দুইটি “পারমাণবিক সাবমেরিন” মোতায়েন করেছেন, যেগুলো এখন “ওই অঞ্চলে” অবস্থান করছে।
তবে তিনি স্পষ্ট করেননি সাবমেরিন দুটি পারমাণবিক-শক্তিচালিত না কি পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত। সাবমেরিনগুলোর অবস্থানও গোপন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ৩১ জন নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে “ঘৃণিত” বলে অভিহিত করেন।
এটি ছিল রাশিয়ার ২০২৪ সালের জুলাই মাসের তুলনায় ১৪ গুণ বেশি – এক মাসে রেকর্ড ৬ হাজার ২৯৭টি ড্রোন হামলার অংশ।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন মার্কিন তৈরি প্যাট্রিয়ট সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম পাবে। তবে এই সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা অর্থায়ন করবে।
ইউক্রেনও রাশিয়ায় পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার একাধিক হামলায় ৩ জন নিহত এবং একটি তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
সোমবার সকালে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ অঞ্চলের একটি রেলস্টেশনে আগুন ধরে যায় বলে টেলিগ্রামে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
চলমান যুদ্ধের মধ্যেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা গত কয়েক মাসে তুরস্কের ইস্তানবুলে একাধিক বৈঠক করেছেন।
সর্বশেষ বৈঠকে ১ হাজার ২০০ বন্দি বিনিময়ের চুক্তি হয়েছে বলে রোববার ঘোষণা দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্টিভ উইটকফ একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও ট্রাম্পের গলফ খেলার সাথী। তিনি এর আগেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার মস্কোতে বৈঠক করেছেন।

তিনি একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবেও কাজ করছেন। সম্প্রতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার অংশ হিসেবে তিনি তেল আবিবে সফর করেন এবং গাজায় আটক বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।