ট্রাম্পের স্বাক্ষরে কর ও ব্যয়ের বিল আইনে পরিণত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অন্যতম প্রধান নীতিমূলক বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়ার একদিন পরেই আইনে পরিণত হলো। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিলটি সই করার পর একটি বিজয়োৎসবের আবহ তৈরি হয়। খবর বিবিসির।
৮৭০ পৃষ্ঠার এই বিলের মাধ্যমে ট্রাম্পের ২০১৭ সালের করছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো, প্রতিরক্ষায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার বাড়ানো, ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে ১০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দসহ নানা বিতর্কিত পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেইড) খাতে ব্যাপক কাটছাঁট করা হয়েছে এবং বাইডেন যুগের পরিচ্ছন্ন শক্তির ট্যাক্স ক্রেডিট কমানো হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই বিল “অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উস্কে দেবে” এবং করছাড়ের কারণে “মানুষ খুশি হবে”। তবে সমালোচকরা বলছেন, এতে ধনীদের সুবিধা হবে আর দরিদ্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, বিলে প্রদত্ত করছাড় মূলত উচ্চ আয়ের মানুষদের বেশি উপকৃত করবে; ট্যাক্স পলিসি সেন্টারের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর ৬০ শতাংশ সুবিধা যাবে বছরে ২ লাখ ১৭ হাজার ডলারের বেশি আয় করা মানুষদের কাছে।

ডেমোক্রেটরা বিলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হাউজের সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফরিজ ভোটাভোটি বিলম্ব করতে নয় ঘণ্টা ধরে বক্তব্য রেখেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিলটি ২১৮-২১৪ ভোটে পাস হয়।
বিলে স্যাপ (খাদ্য সহায়তা) এবং মেডিকেইডে কাটা মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা হারাবেন বলে কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের (সিবিও) পূর্বাভাস। রিপাবলিকানরা বলছেন, কঠোর শর্ত আরোপের মাধ্যমে তারা অপব্যবহার ও জালিয়াতি বন্ধ করতে চান।
হোয়াইট হাউস আশাবাদী করছাড় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে বাজেট ঘাটতি বাড়বে এবং জাতীয় ঋণ বেড়ে যাবে।