যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন ট্রাম্প

নিজের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে করা যুদ্ধবিরতি ভঙ্গুর হয়ে উঠলে দৃশ্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা সিএনএন জানায়, ট্রাম্প উভয় পক্ষেরই সমালোচনা করেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রতি তার কড়া নিন্দা বজায় রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল ‘আমরা চুক্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই ইরানের ওপর ‘মুক্ত’ হামলা চালিয়েছে।
সংঘাতের চলমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্প হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরায়েল ও ইরান উভয়কেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের মূলত দুটি দেশ রয়েছে, যারা এত দীর্ঘ ও এত তীব্র লড়াই করছে যে, তারা জানে না, তারা কী করছে।’
ট্রাম্প ইসরায়েলকে সরাসরি তিরস্কার করে বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের ওপর খুশি নই।’ তিনি বোঝাতে চাইলেন, যখন তিনি ১২ ঘণ্টার সময়সীমা দেন, তখন ইসরায়েলের উচিত ছিল না প্রথম ঘণ্টাতেই সব কিছু ফেলে দিয়ে হামলা শুরু করা। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (ইসরায়েল) সঙ্গে খুশি নই। আমি ইরানের সঙ্ওগে খুশি নই।’
হোয়াইট হাউস থেকে মেরিন ওয়ান নামের হেলিকপ্টারে ওঠার পরপরই ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ আবারও ইসরায়েলের সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, ‘ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। যদি তুমি এটা করো, তাহলে এটা হবে এক বড় লঙ্ঘন। এখনই তোমার পাইলটদের বাড়ি ফিরিয়ে আনো!’
যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরান আক্রমণ করবে না, ট্রাম্প এই বিষয়ে ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল ইরান আক্রমণ করবে না। ইরানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ ‘প্লেন ওয়েভ’ করার সময় সমস্ত বিমান ঘুরে ফিরে বাড়ি যাবে। কেউ আহত হবে না, যুদ্ধবিরতি কার্যকর! এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!’
মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কথোপকথন ‘অসাধারণভাবে দৃঢ় ও সরাসরি’ ছিল এবং যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য কী করা দরকার তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, নেতানিয়াহু পরিস্থিতির তীব্রতা ও ট্রাম্পের উদ্বেগ বুঝতে পেরেছিলেন।

নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘ইরান কখনই নিজেকে (পারমাণবিক স্থাপনা) পুনর্নির্মাণ করবে না। সেই জায়গাটি পাথরের নিচে, সেই জায়গাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।’ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, মার্কিন হামলার প্রভাব সীমিত ছিল।