রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, যার উদ্দেশ্য “পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রকে রুদ্ধ করা”। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন তিনি। এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউক্রেনের অন্যান্য মিত্রদের যৌথ উদ্যোগে নেওয়া হচ্ছে। খবর বিবিসির।
স্টারমার জানান, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে চাপ সৃষ্টি করবে এবং ভ্লাদিমির পুতিনকে বোঝাবে যে, শান্তির প্রতি আন্তরিকতা দেখানো এখন রাশিয়ার স্বার্থেই।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত হচ্ছে না। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা “আমাদের অনেক খরচ করায়” এবং তিনি এর বিরোধিতা করেন।
এদিকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কিয়েভে নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। বিভিন্ন আবাসিক ভবনে হামলার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সামরিক শিল্পে চাপ সৃষ্টি করবে। তবে ঠিক কোন খাতে বা কাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি।
স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, “জি-৭ সম্মেলনে আমরা সবাই মিলে এমন একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ চূড়ান্ত করছি, যা রাশিয়ার জ্বালানি আয়ের উৎস বন্ধ করবে এবং অবৈধ যুদ্ধ চালানোর অর্থের জোগান কমাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাস্তবতা হলো, সব তাস রাশিয়ার হাতে নেই।”
এর আগে সোমবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান যে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সম্মেলন থেকে আগেভাগেই বিদায় নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন এটি। নিষেধাজ্ঞা কেবল একমুখী রাস্তা নয়।”

ট্রাম্প বলেন, তিনি নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে স্বাক্ষর করবেন কি না, তার আগে দেখতে চান রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তিচুক্তি সম্ভব কি না।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, রাশিয়াকে জি-৭ থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল “একটি ভুল” এবং “এতে জটিলতা বেড়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও অন্যান্য নেতারা রাশিয়াকে বহিষ্কার করেন।