বেশি দেরি হওয়ার আগেই ইরানের উচিত আলোচনায় বসা : ট্রাম্প

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত প্রসঙ্গে কানাডায় অনুষ্ঠানরত জি-সেভেন সম্মেলনের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে চাইবে, কেননা ইরান এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না।
ইরান এই সংঘাত নিরসনে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে কিনা বা সংঘাত থামাতে তার কাছে কোনো বার্তা আছে কিনা-যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, ইরান আলোচনা করতে পারে, তবে এই আলোচনা তাদের আরও আগেই করা উচিত ছিল। আমার কাছে ৬০ দিন সময় ছিল। তাদের কাছেও ৬০ দিন সময় ছিল। কিন্তু ৬১তম দিনে আমি বলেছি যে, আমাদের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তাদের চুক্তি করতে হবে, যদিও এটি দুপক্ষের জন্যই খুব বেদনাদায়ক; তবে আমি বলবো ইরান এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না, এবং তাদের আলোচনা করা উচিত, তাদের অতি দ্রুত আলোচনায় বসা উচিত, অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই।’

সম্প্রতি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান জরুরিভাবে এই শত্রুতাপূর্ণ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সংকেত দিচ্ছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাইছে। এ বিষয়ে আরব মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বার্তা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দেয় সংবাদ মাধ্যমটি।
এই বসন্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দুই মাসের সময় বেঁধে দেন। আর গত শুক্রবার (১৩ জুন) ৬১তম দিনে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জি-সেভেন সম্মেলনের ওই সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়- ইরান ও ইসরায়েলের এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবে সম্পৃক্ত হবে কিনা। তবে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না।’ এমনকি ইসরায়েলকে কোনো ধরনের গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করছে সে সম্পর্কে কোনো উত্তর দেননি ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবসময় ইসরায়েলকে সমর্থন করি। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় ধরে আছি এবং এই মুহূর্তে ইসরায়েল খুব ভালো করছে।’