ইরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ

ইরানের রাজধানী তেহরানের মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার (১৪ জুন) ভোরে আগুন ও প্রবল ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। খবর এএফপির।
স্থানীয় আইএসএনএ সংবাদ সংস্থা একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে পশ্চিম তেহরানের বিমানবন্দর এলাকা থেকে প্রবল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে, মেহের সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণ ঘটছে। ইরানের এই দুটি সংবাদমাধ্যমের মতে, তেহরানের মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন জ্বলছে। খবর সিএনএনের।
রাষ্ট্রীয়-অনুমোদিত তাসনিম সংবাদ সংস্থা প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও বিমানবন্দর এলাকা থেকে ধোঁয়া বাতাসে উড়তে দেখা যাচ্ছে। প্রেস টিভিও বিমানবন্দরে আগুনের খবর নিশ্চিত করেছে।
তবে, এই আগুনের কারণ এখনো জানা যায়নি।
ইরানের ওপর ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরান শনিবার ভোরে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইসরায়েলে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৭১ জন আহত হয়েছে। এই পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতের শেষভাগে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সামরিক অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন চলবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ এই হামলাকে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলার পর কঠোর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নতুন কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপৌর। তিনি বলেন, তেহরান শিগগিরই ইসরায়েলের জন্য নরকের দরজা খুলে দেবে।

তেহরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল জরুরি অবস্থা জারি করেছে। খবর এএফপির।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘জড়িত নয়’। তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার ইঙ্গিত করে।