ভারতের ২০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পারত পাকিস্তান : বিলাওয়াল ভুট্টো

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় তার দেশ ২০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার সক্ষমতা রাখলেও সংযম দেখিয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান সবসময় আত্মরক্ষার জন্য কাজ করেছে এবং দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তি হিসেবে আচরণ করেছে। খবর জিও নিউজের।
একটি উচ্চ-পর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং নয়াদিল্লির আখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করা।
স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) নিউইয়র্কে প্রবাসী পাকিস্তানিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘২০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করে রাখা ছিল পাকিস্তান বিমান বাহিনীর। তবে একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ করেছে পাকিস্তান। আমরা ২০টি বিমান ভূপাতিত করতে পারতাম। কিন্তু পাকিস্তান বিমান বাহিনী সংযম দেখিয়েছে। সামরিক উচ্চ কমান্ড তাদের ধৈর্য প্রদর্শন করেছে এবং কেবলমাত্র সেই ছয়টি বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যেগুলো পাকিস্তানের উপর বোমা ফেলেছিল।’
বিলাওয়াল ভুট্টো দাবি করেন, ভারত হামলা চালানোর পর আগ্রাসনের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না পাকিস্তানের। তবে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার জন্যই তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
পিপিপি প্রধান বলেন, ৭ মে ভারত তার সামরিক অভিযানে বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যার মধ্যে উপাসনালয় ও জ্বালানি স্থাপনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই হামলায় নারী ও শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত থাকার অভিযোগ থাকলেও বিলাওয়াল ভুট্টো তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান এই হামলার নিন্দা করেছে। এমনকি একটি আন্তর্জাতিক তদন্তে অংশগ্রহণের প্রস্তাবও দিয়েছে, যা নয়াদিল্লি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিলাওয়াল ভারতের একতরফা পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, ভারত একইসঙ্গে বিচারক, জুরি ও জল্লাদ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি ভবিষ্যতে একটি পারমাণবিক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
এই রাজনীতিবিদ ভারতের সঙ্গে ‘যেকোনো সংলাপের মূল উপাদান’ হিসেবে কাশ্মীর ইস্যুকেও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর বিরোধকে উপেক্ষা করা যায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তেজনা প্রশমনে ও সংলাপ চালিয়ে যেতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।