সুপ্রিম কোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করা হলে বদলে যেতে পারে ফলাফল। এমনই হতে পারে যে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন হিলারি ক্লিনটন।

আইনের অধ্যাপক লরেন্স লেসিগের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ২৬ লাখ জনপ্রিয় ভোটে (জনগণের সরাসরি ভোট) এগিয়ে আছেন হিলারি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির কারণে নির্বাচনে তিনি হেরে গেছেন। অধ্যাপক লরেন্স লেসিগ বলেছেন, এই পদ্ধতি অসাংবিধানিক বলে রুল জারি করা যেতে পারে।

যে পদ্ধতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় তা বেশ জটিল উল্লেখ করে আইনের এই অধ্যাপক বলেন, নাগরিকরা নিজেদের অঙ্গরাজ্যের প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোট দেন আর তারপর ইলেকটোরাল কলেজের প্রতিনিধিরা তাঁদের পক্ষে অঙ্গরাজ্যের প্রধান নির্বাচন করেন। এর ফলে ভোটারদের চাওয়াটা বেশির ভাগ সময় প্রতিফলিত হয় না। হিলারি ক্লিনটন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কিন্তু এই অঙ্গরাজ্যে যেহেতু ট্রাম্পের ভোটের শতকরা হার বেশি তাই ইলেকটোরাল কলেজের ছয়জন প্রতিনিধির কেউই হিলারির পক্ষে ভোট দেননি।

লরেন্স লেসিগ বলেন, তিনি এবং অন্য আইন বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিতে বেআইনি বলে মনে করেন। কারণ এতে সংবিধানের ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ নীতি বা ‘সকলের জন্য সমান’ অধিকার নীতি মেনে চলা হচ্ছে না। এর অর্থ হলো, সব ভোটারকে সমানভাবে দেখা হচ্ছে না বা কিছু মানুষ কিছুই বলার সুযোগ পাচ্ছেন না।’

এর আগে ২০০০ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এক রুলের বিষয় তুলে ধরেন অধ্যাপক লেসিগ। সে কারণে নিউইয়র্ক বা ক্যালিফোর্নিয়ার মতো বড় অঙ্গরাজ্যগুলোর অ্যাটর্নি জেনারেলদের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক লেসিগ। এই বড় অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটাররা বেশি ভোট দেওয়ার পরও কীভাবে চুপ করে বসে আছেন সেটাই বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।