বিতর্কে বসছেন হিলারি-ট্রাম্প

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকে এরই মধ্যে ‘সর্বকালের জঘন্যতম’ আখ্যা দিয়েছেন বারাক ওবামা। আগের যেকোনো বারের চেয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে দৃশ্যত কাঁদা ছোড়াছুড়ির মাত্রাটা এবার বেশি। নানা কারণে বিতর্কিত প্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের হার না মানা আচরণ, আর ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল অথবা অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে এখন আলোচনা চলছে তাঁদের প্রথম মুখোমুখি বিতর্ক নিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হেম্পস্টেড শহরের হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে প্রথম বিতর্ক হবে। ৯০ মিনিটের এ বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ টেলিভিশন চ্যানেলই সরাসরি সম্প্রচার করবে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের প্রথম বিতর্ক সঞ্চালনা করবেন দেশটির টিভি চ্যানেল এনবিসির উপস্থাপক লেস্টার হল্ট।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের বিতর্কের ৯০ মিনিট সময়কে প্রায় ১৫ মিনিট করে ছয়টি ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বিতার্কিকরা দুই মিনিট করে সময় পাবেন। এক সপ্তাহ আগেই অবশ্য বিতর্কের বিষয়বস্তু ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তার জোরদারের বিষয়।
নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র এবং বর্ষীয়ান রিপাবলিকান রুডি গিলিয়ানির মতে ট্রাম্প খুবই ভালো করছেন। যার পূর্ণ ঝলক তিনি বিতর্ক মঞ্চে দেখাতে পারবেন বলে আশাবাদী।
নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি গিলিয়ানি বলেন, ট্রাম্প খুবই ভালো করছে। তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ আচরণ করবেন এটাই চাই। কৃত্রিম আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব নয়।
হিলারির জন্য সুখবর হলো, বিতর্ক পূর্ববর্তী জরিপের ফল। ম্যাকক্লাচি ম্যারিস্টের জনমত জরিপ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভোটারদের মধ্যে হিলারিকে সমর্থন করে ৪৫ শতাংশ, আর ট্রাম্পের সমর্থন ৩৯ শতাংশ। সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও, বেশির ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার হিলারির পক্ষেই রয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষে রয়েছেন মাত্র ৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার।