প্রথম বিতর্ক নিয়ে চাপের মুখে হিলারি ও ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকানের ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিতর্ক নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কাকে হারিয়ে কে জিতবেন? এমন প্রশ্ন নাগরিকদের মুখে মুখে। নির্বাচনের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে এ বিতর্ক নিয়ে চাপে আছেন হিলারি ও ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আগামীকাল সোমবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হেম্পস্টেড শহরের হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে প্রথম বিতর্ক হবে। ৯০ মিনিটের এ বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলই সরাসরি সম্প্রচার করবে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রথম বিতর্ক সঞ্চালনা করবেন দেশটির টিভি চ্যানেল এনবিসির উপস্থাপক লেস্টার হল্ট।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের বিতর্কের ৯০ মিনিট সময়কে প্রায় ১৫ মিনিট করে ছয়টি ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বিতার্কিকরা দুই মিনিট করে সময় পাবেন। অবশ্য এক সপ্তাহ আগেই অবশ্য বিতর্কের বিষয়বস্তু ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তার জোরদারের বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিতর্কে হারাতে নিজের আক্রমণের পরিকল্পনা যাচাই করছেন হিলারি ক্লিনটন।
অন্যদিকে, বিতর্কের প্রস্তুতির গতানুগতিক পদ্ধতি অনেকটাই বাদ দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে হিলারির আগের বিতর্কের সবচেয়ে ভালো ও খারাপ মুহূর্তের ভিডিও দেখে তাঁকে আক্রমণের পথ খুঁজছেন নিউইয়র্কের এই ধনকুবের।
ধারণা করা হচ্ছে, হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কটি হতে যাচ্ছে ১৯৮০ সালের কার্টার ও রিগানের পর মার্কিন টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দেখা কোনো বিতর্ক।
বিশ্লেষকদের মতে, বিতর্কের মধ্য দিয়েই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ও ট্রাম্পের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা উভয়ই প্রকাশ পাবে।
হিলারির প্রচার ও উপদেষ্টাদের বরাত দিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিতর্কে ট্রাম্প মিথ্যা বলছে, এমন প্রমাণ তাঁকে হারানোর জন্য যথেষ্ট নয়। বিতর্কে প্রমাণ করতে হবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে অযোগ্য।