মালয়েশিয়ায় সম্পদ জব্দের চিন্তা, সব হারাবেন ব্যবসায়ীরা

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটিতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অবৈধ শ্রমিক রাখলে তাদের সম্পদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (এমইএফ) নির্বাহী পরিচালক দাতুক শামসুদ্দিন বারদান বলেছেন, এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সব হারাবেন ব্যবসায়ীরা।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনকে শামসুদ্দিন বারদান বলেন, ঘোষিত পরিকল্পনা অক্টোবর থেকে বাস্তবায়িত হলে মালয়েশীয় এবং বৈধ বিদেশি শ্রমিকরাও কাজ হারাবেন। কারণ কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিয়োগকর্তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না এবং কর্মী ছাঁটাই করতে হবে।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফা আলী বলেছেন, ভিসা ও পারমিট নিয়ে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করতে হবে। এ জন্য চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
তবে শামসুদ্দিন বারদান বলেন, ৫৬-এর আইনে কোথাও বলা হয়নি অবৈধ শ্রমিককে কাজে রাখলে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হবে। ওই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান পাঁচজন পর্যন্ত অবৈধ শ্রমিককে কাজে নিয়োগ করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ৫০ হাজার রিংগিত পর্যন্ত জরিমানার শিকার হবে। আর প্রত্যেক অবৈধ শ্রমিকের শাস্তি হতে পারে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ও ছয়বার পর্যন্ত বেত্রাঘাত।
মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশনের সভাপতি তান শ্রী ইয়ং পোহ কন বলেন, সরকারের উচিত পরিকল্পনা আবার যাচাই করে দেখা এবং এমনভাবে সেটি বাস্তবায়ন করা যেন দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠান ও বৈধ শ্রমিকদের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।