হিলারিকে হত্যায় ট্রাম্পের উসকানি!

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক ছাড়া থাকুক, দেখা যাক কী ঘটে।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি শহরে এক নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ (গান কন্ট্রোল) আইন পরিবর্তনে হিলারি ক্লিনটনের ইচ্ছার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো হিলারিকে হত্যায় উসকানি দিলেন বলে দাবি ডেমোক্রেটদের। একই সঙ্গে দাবি করা হয়, এমন বক্তব্যের মাধ্যমে সহিংসতাও উসকে দেওয়া হচ্ছে।
মায়ামির প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (হিলারি) বন্দুক চান না। আমি মনে করি, তাঁর দেহরক্ষীদের বন্দুক ছাড়া থাকা উচিত। তাঁদের বন্দুক নিয়ে নেওয়া হোক এবং দেখা যাক তাঁর (হিলারির) কী ঘটে। এটি হবে অতি ভয়ংকর।’
হিলারি ক্লিনটনের এক মুখপাত্র রবি মুক বলেন, বিক্ষোভকারীদের খেপানোর জন্য, অনানুষ্ঠিকভাবে অথবা কৌতুক করে এ কথা বলা হলেও এটি কমান্ডার ইন চিফ হতে ইচ্ছুক কারো জন্য প্রযোজ্য নয়। একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর এমন কথাবার্তা বলা উচিত নয়।
হিলারি ক্লিনটন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার কথা বললেও মার্কিন সংবিধানের আত্মরক্ষার অধিকারের সমর্থক তিনি। গত জুলাইয়ে ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে মার্কিন জনগণের উদ্দেশে হিলারি বলেন, ‘আমি আপনাদের বন্দুক নিয়ে যেতে আসিনি।’
এর আগেও হিলারি ক্লিনটনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার বিষয় টেনে ‘উসকানিমূলক বক্তব্য’ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে নর্থ ক্যারোলিনায় এক প্রচারণায় ট্রাম্প বলেন, হিলারি ক্লিনটন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ উঠিয়ে দিতে চান। তিনি যদি বিচারকদের বাগাতে পারেন, তাহলে মার্কিন জনগণ কিছুই করতে পারবে না।
এই বক্তব্যের মাধ্যমেও ট্রাম্প সহিংসতার উসকানি এবং হিলারির প্রতি জনগণকে ক্ষুব্ধ করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন ডেমোক্র্যাটরা।
বিতর্কিত মন্তব্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য নতুন নয়। রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মনোনয়ন পাওয়ার আগেই মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া, মেক্সিকানদের ধর্ষক বলাসহ বিভিন্ন মন্তব্য করে তিনি বিতর্কের জন্ম দেন। মাঝেমধ্যে সুর পাল্টালেও নিয়মিত বিরতিতেই বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করে ট্রাম্প বিতর্কিত হচ্ছেন।