ডেমোক্রেটিক দলের ‘মনোনয়ন নিশ্চিত’ হিলারি ক্লিনটনের

চলতি বছর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত হিলারি ক্লিনটনের। মনোনয়ন পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে এই সাবেক ফার্স্ট লেডি এবং মার্কিন পরাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ডেলিগেটের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, হিলারি ক্লিনটন এরই মধ্যে ডেমোক্রেটিক দলের দুই হাজার ৩৮৩ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়েছেন। দলটি থেকে মনোনয়ন পেতে মোট চার হাজার ৭৬৫ ডেলিগেটের মধ্যে ওই সংখ্যক ডেলিগেটের সমর্থন প্রয়োজন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের মনোনয়ন পাওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার পর ২২৭ বছর পার হয়েছে। ১৭৮৯ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জর্জ ওয়াশিংটন। এর পর ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যার মধ্যে ৪৩ জনই শ্বেতাঙ্গ। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো নারীনেত্রী প্রধান দুটি দলের কোনোটির মনোনয়ন পেলেন।
এপি জানায়, পুয়ের্তো রিকোতে বিপুল সমর্থন এবং শেষ সময়ে কিছু সুপার ডেলিগেটের আশ্বাসেই প্রয়োজনীয় ডেলিগেট জোগাড় নিশ্চিত হয় হিলারির। বিবিসি জানায়, এখনো ক্যালিফোর্নিয়া, মন্টানা, নিউ মেক্সিকো, নর্থ ড্যাকোটা, সাউথ ড্যাকোটা ও নিউ জার্সিতে ডেমোক্রেটিক দলের প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হয়নি। এসব অঙ্গরাজ্যে সমর্থন পেলে ডেলিগেট সংখ্যা আরো বাড়বে হিলারির।
হিলারি যথেষ্ট ডেলিগেটের সমর্থন পেলেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ভারমন্টের সিনেটর এবং ডেমোক্রেটিক দলের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় দলের কনভেনশন পর্যন্ত প্রচার চালাবেন তিনি।
বিবিসি জানায়, ২০০৭ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান হিলারি ক্লিনটন। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সে ইচ্ছার পূরণ হচ্ছে এত দিন পর।
হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন কিছু। তবে হিলারি ক্লিনটন কিন্তু মার্কিনিদের কাছে নতুন নন। আর হোয়াইট হাউসও নতুন নয় হিলারির কাছে। ফার্স্ট লেডি হিসেবে ১৯৯৩ থেকে ২০০১—এই আট বছর ছিলেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবনে। পরে ওবামার সময়ে হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার আশপাশে থাকায় মার্কিনিদের কাছে অতি পরিচিত মুখ হিলারি ক্লিনটন।