চেয়েছিল মায়ের ভালোবাসা, কিশোরী পেল বর্বরতা

অনেকদিন থেকেই নিখোঁজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা। বাড়িতে কেবল পক্ষাঘাতগ্রস্ত বাবা আর ঠাকুরমা (দাদি)। এরই মধ্যে মায়ের এক ‘বান্ধবী’ এসে জানালেন, তিনি জানেন কিশোরীর মায়ের খোঁজ। তবে গোপনে যেতে হবে সেখানে, কারণ মা সেখানে অন্য আরেকজনের সংসার করছেন।
এই খবর পাওয়ার পর মায়ের খোঁজে উতলা কিশোরীটি আর সাত-পাঁচ ভাবেনি। মায়ের বান্ধবীর সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি সকালে একাই চলে যায় একই জেলার খাদিমপুরের তালতলা এলাকায়। পরদিন সেখান থেকে ফিরে কিশোরীটি তার দাদিকে জানায়, সেই রাতেই চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে। রাতভর চলেছিল শারীরিক নির্যাতন।
পরদিন নির্যাতিতা কিশোরীটিকে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন দাদি। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার ‘মায়ের বান্ধবী’ আলো সরকারসহ ওই চার যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত চার যুবকের নাম রিন্টু দাস, প্রসেনজিৎ কুণ্ডু, শঙ্কর সরকার ও সঞ্জিত মহন্ত বলে পুলিশের বরাতে জানিয়েছে জি নিউজ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সুব্রত গাইন জিনিউজকে জানান, নির্যাতিত কিশোরীর মায়ের কথিত বান্ধবী আলো সরকার দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার নামে নারী পাচারের অভিযোগ আছে জেলার আরেকটি থানায়। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে আজই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে সেফ হোমে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ।