অনুপ চেটিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিল সিবিআই

উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফের ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়াকে আজ বুধবার সকালে নয়াদিল্লি থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে। পরে তাঁকে কামরুপ আদালতে তোলা হয়।
আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিমের এজলাসে তোলা হয় অনুপ চেটিয়াকে। সিবিআই কর্মকর্তা এদিন অনুপ চেটিয়াকে ফের ১৪ দিনেরর রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আরজি জানান।
অপরদিকে, অনুপ চেটিয়ার আইনজীবী বিজন মহাজন তাঁর মক্কেলকে জামিন দিতে আবেদন করেন। এরপর বিচারক অনুপ চেটিয়াকে পাঁচ দিনের সিবিআই রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
১৯৮৬ সালের ২৯ আগস্ট আসামের গোলাঘাটে সাবেক এক কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন অনুপ চেটিয়া। সেই মামলার বিচার করতে গিয়ে কামরুপ আদালত আজ হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
আজ সকালে দিল্লি থেকে অনুপ চেটিয়াকে বিশেষ বিমানে করে গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অনুপ চেটিয়ার স্ত্রী মণিকা বড়ুয়া ছাড়াও পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, ওই সময় অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন উলফার শান্তি আলোচনার পক্ষের পররাষ্ট্রসচিব শাশা চৌধুরীসহ সতীর্থরা। অবশ্য, তাঁরা বর্তমানে সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে তাঁরা দেখা করার অনুমতি পেলেও শেষ পর্যন্ত দেখা করতে পারেননি। বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় সোজা গোয়াহাটির কামরুপ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুপ চেটিয়াকে। আদালতে ঢোকার সময় কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল এই উলফা নেতার গোটা মুখ।
অনুপ চেটিয়ার আইনজীবী বিজন মহাজন জানান, তিনি তাঁর মক্কেল অনুপ চেটিয়ার জামিনের জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।
এদিন উলফা নেতাকে দেখার জন্য কামরুপ আদালত চত্বরে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। ছিলেন অসংখ্য সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও।
১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের জেলে বন্দি ছিলেন এই ৪৭ বছর বয়সী অনুপ চেটিয়া। একসময়ের আসাম কাঁপানো উলফার সাধারণ সম্পাদক এই অনুপ চেটিয়াকে গত ১১ নভেম্বর ভারতের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ।