কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে বহু বিবাহ নয়

পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে বহু বিবাহের কঠোর সমালোচনা করেছেন গুজরাট রাজ্যের হাইকোর্ট। এ ধরনের বিয়ে ‘ব্যক্তিগত খায়েশ’ মেটাতে করা হয় বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটের এক বাসিন্দার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণে এসব মন্তব্য করেন রাজ্য হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে জাফর আব্বাস মার্চেন্ট নামের গুজরাটের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে একটি এজাহার (এফআইআর) দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। এজাহারে জাফরের স্ত্রী উল্লেখ করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখা অবৈধ।
স্ত্রীর করা ওই আবেদন বাতিল করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন জাফর মার্চেন্ট। তিনি আদালতকে বলেন, মুসলিম ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এজাহারের আইনি ভিত্তি নেই।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, ‘একজনের বেশি স্ত্রী রাখতে মুসলমান পুরুষরা কোরআনের অপব্যাখ্যা করেছেন।’
‘যৌক্তিক কারণে কোরআন বহু বিবাহ অনুমোদন দিয়েছিল। বর্তমান সময়ে পুরুষরা ব্যক্তিগত খায়েশ মেটাতে এটি ব্যবহার করছে। বহু বিবাহ নিয়ে কোরআনে একবার বলা হয়েছে, সেটাও শর্তসাপেক্ষে বহু বিবাহ’, যোগ করেন পার্দিওয়ালা।
বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে আরো বলেন, ভারতে স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুরুষের দ্বিতীয় বিয়ে বন্ধ হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সবার জন্য একই রকম আইন থাকা দরকার।