সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় ভারতের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় শত্রুপক্ষের হামলা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রুখতে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় বাংলাদেশ। মূলত বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা করতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সমুদ্রসীমায় পাহারা জোরদার করার ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা।
চারদিনের সফরে আজ সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল ফরিদ হাবিব। পরে সাউথ ব্লকে তিনি ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান এ কে ব্রাউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল ফরিদ হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত সমস্যা মিটে যাওয়ার পর আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পানিসীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে চাই।’ তিনি জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা সমুদ্র অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেল রক্ষা করতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশের নৌসেনা।
ফরিদ হাবিব বলেন, বাংলাদেশের সামুদ্রিক অঞ্চলে সমুদ্রসীমায় প্রায়ই দস্যু, অস্ত্র পাচারকারী এবং ভাসমান মাইন দেখা যায়। বাংলাদেশের একার পক্ষে এগুলো সামলে উঠে নিরাপত্তার বেষ্টনী মজবুত করা বেশ দুরূহ। সেখানে দাঁড়িয়ে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বিস্তীর্ণ পানিসীমানায় শান্তি ফেরানোর কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনী চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন কিনতে চলেছে যা দেশের নৌবাহিনী নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করবে।
চারদিনের সফরে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ভারতই প্রথম নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
তবে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে পানিসীমানার কোন কোন এলাকায় পাহারা চালাবে তা এখনো ঠিক হয়নি। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে আলোচনার পরেই তা স্থির করা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান মুম্বাইয়ের ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ড ও কলকাতার গার্ডেনরিচের শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।