‘সিরিঞ্জ সাইকো’ আতঙ্কে অন্ধ্রপ্রদেশের নারীরা

এক অদ্ভুত ‘সিরিঞ্জ সাইকোর’ আতঙ্কে অস্থির অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরি ও নরসাপুরম জেলার নারীরা। কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়ায় এই ‘বিকৃতমনস্ক’ লোকটি। একলা কোনো নারীকে পেলেই পেছন থেকে তাঁর শরীরে সিরিঞ্জ ফুটিয়ে চম্পট দেয়। অন্ধ্রের পুলিশের বরাতে এমনই জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকাটি।
গত ২২ আগস্ট শরীরে সিরিঞ্জ ফোটানোর বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এক নারী। এর পর একের পর এক অভিযোগ আসতেই থাকে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন ১১ নারী। তবে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১১ নারী অভিযোগ করলেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।
অন্ধ্রপ্রদেশের নরসাপুরম জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার সৌমায়া লতা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, মেয়েদের শরীরে অজানা বস্তু সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে দিয়েই চম্পট দিচ্ছে লোকটি। কয়েকজন নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে হামলার পর তাঁদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েননি। তবে কেউ কেউ ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন।
সৌমায়া লতা আরো জানান, এক সপ্তাহ ধরে ত্রাস ছড়ানো লোকটিকে ধরতে সব চেষ্টা চলছে। এ জন্য ৪০টি বিশেষ দলও গড়া হয়েছে। সন্ধান পেতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তার ক্রসিংয়ে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ। এ ছাড়া তাকে ধরতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) আর পি ঠাকুর। আক্রান্তদের দেওয়া বিবরণের ভিত্তিতে লোকটির স্কেচও আঁকিয়েছে পুলিশ। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারও করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে অপরিচিত ওই দুষ্কৃতকারীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিরিঞ্জ সাইকো’। বিকৃতমনস্ক এই লোকটিকে খুঁজে এখনো পায়নি পুলিশ। তবে পেছন থেকে মোটরসাইকেল আসতে দেখলেই গোটা অন্ধ্রপ্রদেশের নারীরা এখন আতঙ্কে সটকে পড়েন।