জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে গোলাগুলি, নিহত ৬

জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাইন অব কন্ট্রোলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় পাকিস্তানের ভারী গুলিবর্ষণে আজ পর্যন্ত ছয়জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো নয়জন।
গতকাল রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে সীমান্তবর্তী ভারতের বালাকোট গ্রামের ৪০ বছর বয়স্ক এক নারী মারা যান। এর আগে গতকাল পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ১২ বছরের এক শিশু নিহত হয়।
গতকাল অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভঙ্গের ঘটনার শুরু হয় ভারতের পুঞ্চ সেক্টরে। গতকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। তবে পাকিস্তানের সেনারা গতকাল রাতেও ভারতের সীমান্ত লক্ষ্য করে ভারী গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সীমান্তের অধিবাসীদের বাড়ির মধ্যে থাকার উপদেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি আগস্টেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৩২ বার ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে। আর পুঞ্চ সীমান্তে এই নিয়ে টানা আটদিন পাকিস্তানের সেনারা গুলিবর্ষণ করেছে।
গতকাল দুপুরে ভারতে বালাকোট সেক্টরে পাকিস্তানের সেনাদের ভারী গুলিবর্ষণে ১২ বছরের এক শিশু ও গ্রামের মোড়লসহ পাঁচজন নিহত হয়। আরো ছয়জন গুরুতর আহত হয়। পুঞ্চ সেক্টরের ডেপুটি কমিশনার নিসার আহমেদ ওয়ানি বলেন, আহতদের জম্মু নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের গুলিবর্ষণে আহত হওয়া বালাকোট সেক্টরের একটি গ্রামের বাসিন্দা রশীদ আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের ছোড়া একটি ভারী গোলা তাঁদের গাড়িতে আঘাত করে। গাড়িতে থাকা সাতজনের একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পাকিস্তানের ভারী গোলাবর্ষণে সীমান্তবর্তী সাবজিয়ান সেক্টরের তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি গোলাবর্ষণ হয়। কয়েকটি পরিবারকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
একদিনের ব্যবধানে শুক্র ও শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে আত্তারি সীমান্তে মিষ্টি বিনিময়ের রেওয়াজ প্রচলিত। তবে এ বছর এটি পালন করা হয়নি।
লোকসভায় এই সপ্তাহে জানানো হয়, গত ২৬ জুলাই থেকে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে ১৯২ বার অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে।