স্বাধীনতা দিবসে মোদির ভাষণ, প্রত্যাশা আর আশ্বাস

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, উদ্যোক্তা তৈরি হয় এমন একটি ব্যবস্থা খোঁজা হচ্ছে। উদ্যোগে ভারতকে এক নম্বর হতে হবে। ভারতকে এগিয়ে নেবে ‘উদ্যোগে ভারত, উঠে দাঁড়াও ভারত’ কর্মসূচি। আজ শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
urgentPhoto
ভারতে আজ পালন হচ্ছে ৬৯তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। ভারতজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসের মূল জাতীয় অনুষ্ঠান হয় দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লায়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ। এতে ছিল দেশবাসীর প্রতি তাঁর প্রত্যাশা ও আশ্বাসের বাণী।
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে দেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। ‘উদ্যোগে ভারত, উঠে দাঁড়াও ভারত’ শীর্ষক নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হবে উদ্যোগে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করা এবং উদ্যোগ ও কাজের সুযোগ তৈরিতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতের তরুণদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করা হবে। ভারতজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সোয়া লাখ ব্যাংক শাখাকে উদ্যোক্তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি শাখা অন্তত একজন দলিত বা উপজাতীয় উদ্যোক্তা এবং একজন নারী উদ্যোক্তাকে উদ্বুদ্ধ করবে। উদ্যোগের শুরুর জন্য বর্তমানে থাকা সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে অর্থ ঋণ দেওয়া হবে। বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলে নতুন পরিসর পাবে উদ্যোগ। আর দেশজুড়ে উদ্যোক্তা তৈরির ব্যবস্থাও সহায়তা পাবে।
সরকারি পদে শুধুমাত্র সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে নিয়োগ বন্ধে নিজের জোরালো অবস্থানের কথা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সরকারি যে কোনো পদে এমন নিয়োগ বন্ধ করা হবে। সব ক্ষেত্রেই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। আর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে অনলাইনে এই কাজ সম্পন্ন হবে।
নন্দ্রে মোদি ভাষণে আরো বলেন, ‘স্কিল ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অধীনে চাকরির সুযোগ তৈরি হয় এমন ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আর মোদির ভাষণের পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।