টেরিজা মে-ই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন শেষে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পেল ব্রিটেনের মানুষ। তবে দিনশেষে জানা গেল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে-ই আবার বসছেন ওই পদে। ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন কনজারভেটিভ নেত্রী।
বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করার পর এ কথা জানান টেরিজা মে।
নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। তবে সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। ব্রিটেনের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২৬টি আসন। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩১৮, লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) পেয়েছে ৩৫, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ১২, ডিউপি পেয়েছে ১০ এবং অন্যরা পেয়েছে ১৩টি আসন।
টেরিজা জানান, ব্রেক্সিট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ডিইউপির সঙ্গে ‘বন্ধু এবং জোট’ হয়ে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘আসুন সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পাওয়ার পর সরকার গঠন নিয়ে দিনভর চলে দৌড়ঝাঁপ। আসনসংখ্যা বেশি থাকার কারণে টেরিজা মেকেই সরকার গঠনের ব্যাপারে প্রথম সুযোগ দেওয়া হয়। আর এতেই তিনি ডিইউপিকে সঙ্গে নিয়ে জানান দিলেন কনজারভেটিভরাই থাকছে ক্ষমতায়।
আসনসংখ্যা কম হলেও লেবার নেতা জেরেমি করবিন প্রস্তুত ছিলেন সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে।
এদিকে, ডিউপির নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা টেরিজার সঙ্গে আছেন। দলটির এক এমপি স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, সরকার গঠনের জন্য টেরিজাকে যথাযথ সমর্থন দেবেন তাঁরা।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের দল ডিইউপি। ওই এলাকায় এ দলটিই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে নির্বাচনের আগে টেরিজার ক্ষমতায় থাকা নিয়ে দলটি বেশ সংশয় প্রকাশ করেছিল। দলের নেতা আর্লেনে ফস্টার সতর্ক করে দিয়েছিলেন টেরিজার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকাটা কষ্টকর হয়ে যাবে।
আগে যাই হোক, এখন ডিইউপির এমপিদের নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে টেরিজা মেকে।