করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন সরকার।

সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানান, লন্ডন ও এর আশে পাশের তিনটি এলাকায় বুধবার থেকে তিন স্তর বিশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা চালু করা হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পানশালা, রেষ্টুরেন্ট, থিয়েটার ও বিনোদন কেন্দ্রসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে খাবারের দোকান ও স্কুল খোলা থাকবে। খবর বাসসের।

পার্লামেন্টে হ্যানকক বলেন, ‘এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি। কেবল জনগণকে নিরাপদ রাখাই নয়, আমরা দেখেছি আগাম পদক্ষেপ অনেক মৃত্যু ঠেকাতে পারে।’

লন্ডনে প্রতিদিনের সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দ্রুতই বেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দক্ষিণ পূর্ব ইংল্যান্ডেও সংক্রমণ তীব্রভাবে বাড়ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে থিয়েটার ও বিনোদন কেন্দ্রসহ পাব, বার বন্ধ থাকলে অর্থনীতির ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর কদিন পরেই ক্রিসমাস ডে। এ উপলক্ষে বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে থাকে মানুষের ভিড়। যা অর্থনীতিকেও লাভবান করে।

এ কারণে সিটি অব লন্ডন কর্পোরেশনের ক্যাথেরিন ম্যাকগুইনেস সরকারের প্রতি সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাকে পর্যাপ্ত সহযেগিতা দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে লন্ডনে আক্রান্তের সংখ্য দুই লাখ এক হাজারেরও বেশি এবং মারা গেছে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।