ইউক্রেনের যে প্রস্তাবে বরফ গলেছে

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে অভিযানে লাগাম টানবে পুতিন বাহিনী।
রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্দার ফোমিন জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে চলমান আলোচনায় আস্থা তৈরি এবং পরবর্তী সমঝোতার পথ তৈরির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে মস্কোর এই নমনীয় অবস্থানের পেছনে রয়েছে ইউক্রেনের প্রস্তাব।
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনায় বসেছিলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী জোট নিরপেক্ষ (নিউট্রাল স্ট্যাটাস) অবস্থান গ্রহণে রাজি আছেন তাঁরা। তবে সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
জোট নিরপেক্ষ অবস্থানের অর্থ হলো - ইউক্রেন ন্যাটোর মতো কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না। কোনো দেশ বা জোটকে সামরিক ঘাঁটিও করতে দেবে না তারা। এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে যে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে পোল্যান্ড, ইসরায়েল, তুরস্ক, কানাডাসহ কয়েকটি দেশ থাকতে পারে।

এ ছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রিমিয়া অঞ্চলের স্ট্যাটাস কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৫ বছরের সময় চেয়েছে ইউক্রেন।
বৈঠক শেষে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত সাভাসগলু বলেছেন, আজকের সমঝোতা আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছেছে। যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধের বিষয়েও তাঁরা একমত প্রকাশ করেছেন।
এদিকে রাশিয়ার শীর্ষ আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রস্তাব খতিয়ে দেখবেন এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালী তীরবর্তী দপ্তর দলমাবাচে প্রাসাদে এ শান্তি আলোচনা হয়।