বিসিবি নির্বাচন বয়কট করতে পারে ১০টির বেশি ক্লাব

গত ১৫ বছর ধরে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তামিম ইকবাল বনাম আমিনুল ইসলাম বুলবুলের লড়াই যখন জমজমাট, তখনই ক্রিকেট পাড়ায় ভেসে আসে সমঝোতার শীতল বাতাস।
সেই শীতল বাতাসের মাঝেই যেন এবার ওঠে এলো মরুভূমির হঠাৎ ঝড়। আবারও নাটকীয় মোড় নিল বিসিবি নির্বাচন। আগামীকাল বুধবার (১ অক্টোবর) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঠিক একদিন আগে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০-১২টি ক্লাব। আগামীকাল তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারে। তার আগে আজ জরুরী বৈঠকে বসার কথা ক্লাবগুলোর।
আজ বিকেলে তৃতীয় বিভাগ বাছাই থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বিসিবির সাবেক পরিচালক ফারুক আহমেদের এক রিটের প্রেক্ষিতে এই রায় দেন আদালত। ফলে নির্বাচনে এই ক্লাবগুলো আর ভোট দিতে পারবে না।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিসিবি নির্বাচন কমিশনের খসরা কাউন্সিলর তালিকায় নাম ছিল না দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় অভিযুক্ত এই ক্লাবগুলোর। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শেষে পরদিন বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবকে রেখেই ঘোষণা করা হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
সুত্র বলছে, কাউন্সিলরদের চূড়ান্ত তালিকায় এই ১৫টি ক্লাবকে রাখার পেছনে কাজ করেছিল তামিম ইকবালসহ বিএনপিপন্থী এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিবপন্থীদের মাঝে সমঝোতা। যেখানে ক্লাব ক্যাটাগরির ১২টি পরিচালক পদের তিনটি পরিচালক পদ আসিফ মাহমুদপন্থীদের ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।
তবে এই সিদ্ধান্ত ক্লাবগুলো মাঝে বিভেদ তৈরি করে। কারণ, এই সমঝোতার কারণে ক্লাব সংগঠকদের প্যানেলে থাকার পথ সংকুচিত হয়ে যায়। এর মাঝে আবার পরিচালক পদের জন্য চূড়ান্ত করা হয় বিএনপির চারজন নেতার ছেলেকে। এতে বাদ পড়া পরিচালকেরা তখন এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন, ক্ষুব্ধ ক্লাব কাউন্সিলরদের অবস্থান চলে যায় তামিমদের বিপক্ষে।
এতে উভয় পক্ষের মাঝে আবারও টানাপোড়েন তৈরি হয়। ক্লাব সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে তিনটি পদ ছাড়া সম্ভব নয়। ১২টি পদেই নির্বাচন করবেন তামিমপন্থীরা। ক্রীড়া উপদেষ্টাও জানিয়ে দেন, তিনিও তাহলে তার মতো করেই এগোবেন।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের আদেশে বাদ পড়া ১৫ ক্লাবের দুটি ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি ও এক্সিওম ক্রিকেটার্স। এই দুই ক্লাব থেকে পরিচালক পদে নির্বাচন করার কথা ছিল বর্তমান বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান মিঠু ও বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরুর।