বাংলাদেশের এমন হারের যে কারণ জানালেন কোচ

এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার জন্য বাংলাদেশর লক্ষ্যটা ছিল ছোট। পাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা জয়ের জন্য পথটা সহজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটাররা হতাশ করে ফিরিয়েছেন। টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে এশিয়া কাপের স্বপ্নটা হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্সও অজুহাত দিয়েছেন লিটনকে নিয়ে।
দুবাইয়ের একই মাঠে বাংলাদেশ তিন ম্যাচ খেলেছে। প্রথম ম্যাচের পর বাকি দুই ম্যাচেই ভরাডুবি হয়েছে ব্যাটারদের জন্য। এই দুই ম্যাচেই ছিলেন না লিটন। বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন অধিনায়ক লিটন দাসের না থাকাটায় বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে।
ম্যাচ শেষে সিমন্স বলেন, ‘লিটন যে ফর্মে ছিল, সেটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। অন্য দলের মতো আমাদের সেরকম গভীরতা নেই। আসলে আমরা এখনও এমন দল হইনি, যেখানে অধিনায়ককে হারিয়ে সেই খালি জায়গা পূরণ করে ফেলব। আমরা এখনও সেখানে যেতে পারিনি। আমরা সেখানে যেতে চেষ্টা করছি। ভালো ফর্মে থাকা অধিনায়ককে হারিয়েছি আমরা। এই ব্যাপারটা আমাদের জন্য বড় ছিল।’
কোচের এই যুক্তির অবশ্য কিছুটা বাস্তবতাও আছে। লিটন না থাকায় বড় পরিবর্তন এসেছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে। মিডল অর্ডারে খেলা তাওহিদ হৃদয়কে খেলানো হয়েছে টপঅর্ডারে। মিডল অর্ডারে ছিলেন না কোনো সলিড ব্যাটার।
যে কারণে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৫ রানে আটকে দেওয়ার পরও সেই লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১২৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১১ রানে হেরে যায় দল। ব্যাটারদের যেভাবে উইকেট হারাতে দেখা গেছে, তা দেখে অনেক সমর্থকই হতাশ ও বিরক্ত। টাইট ম্যাচেও ব্যাটারদের অস্থিরতা চোখে পড়েছে।
বাকিদের ব্যর্থতার মাঝেও এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সাফল্য বলা হয় ব্যাটার সাইফ হাসান। বোলাররা তো অনেকদিন থেকেই ভালো করছে। তাই তাদের প্রশংসাও ঝড়েছে কোচ সিমন্সের মুখে—‘সে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক ছিল। আর আমাদের বোলাররাও পুরো টুর্নামেন্টে ভালো করেছে।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও বাংলাদেশের অনেক ব্যাটারেরই স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন আছে সমর্থকদের মনে। ক্রিকেট বোদ্ধাদের আলোচনায়ও ওঠে আসে সেটি। এ নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘আমরা যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলব, তত দ্রুত পার্থক্যটা কমে আসবে। তখন ছেলেরা বুঝবে কীভাবে খেলতে হয়। মাঝেমধ্যে দেখি কারও স্ট্রাইকরেট ১২৬-১৩০, এটা ঠিক আছে। তবে ছক্কা মারার দিক থেকে আমরা সবার শীর্ষে। আমাদের সমস্যা দ্রুত রান তোলায় না, সমস্যা হলো বড় জুটি গড়তে না পারা, আর দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থাকতে না পারা।’