সাইফ চেষ্টা করেছেন, জীবন পেয়েছেন তবু পারেননি

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে—সাইফ হাসানের বীরোচিত ইনিংস আর বাকিদের ব্যর্থতা। একা হাতে দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করেছেন টাইগার এই ওপেনার। ভাগ্যও পাশে ছিল তার। চারবার জীবন পেয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন, তবুও শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি সাইফ। হাসতে পারেনি বাংলাদেশও।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাটারই ফিরলেন ব্যর্থতার গল্প লিখে। দায়িত্ব নিয়ে ধরতে পারলেন না দলের হাল। তবে, ব্যতিক্রম শুধুই সাইফ। বাকিদের যাওয়া-আসার ভিড়ে নিঃসঙ্গ শেরপার মতো একপ্রান্ত আগলে রেখে চালিয়ে গেলেন লড়াই।
টাইগার এই ওপেনারকে অবশ্য সেই সুযোগটা করে দিয়েছেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। ম্যাচে মোট চারবার জীবন পেয়েছেন সাইফ। সেই জীবন পেয়ে নিজের কাজটা ঠিকঠাকই করেছেন তিনি।
একাহাতে লড়াই চালিয়ে আশা বাড়িয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকদের। তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। এশিয়া কাপে দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে দুই ম্যাচেই হাসল সাইফের ব্যাট। টানা দুই হাফসেঞ্চুরি পেলেন এই ওপেনার।
১৮ ওভারে সাইফ ফিরেছেন বুমরাহকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে। এবারও ক্যাচ প্রায় ফেলেই দিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সেটা তালুবন্দি করেন তিনি। সাইফ ফেরেন ৫১ বলে ৬৯ রান করে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ ছক্কা আর ৩টি চারে।
সাইফ যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন ততক্ষণ কিছুটা হলেও আশা দেখছিল টাইগার সমর্থকরা। তার ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সেই আশাও মরে যায়। বাকিদের ব্যর্থতায় মলিন হয়ে রইল সাইফের ব্যাটের হাসি।