ভারতের বিপক্ষে লড়াই জমিয়েও হারল ওমান

এশিয়া কাপে ওমানের বিপক্ষে ভারতের লড়াইটা ছিল নিয়ম রক্ষার। কিন্তু শক্তিমত্তায় যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা ওমান বেশ লড়াই করেই হেরেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিল তারা। অন্যদিকে ভারত এই ম্যাচে ভিন্ন কিছু পরখ করে দেখতে চেয়েছে। আট উইকেট হারানোর পরও ব্যাট করতে নামতে দেখা যায়নি ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে, বোলিংয়ে আটজন বোলরকে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওমানকে ২১ রানে হারিয়েছে ভারত। টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৮৮ রান করে ভারত। জবাবে ওমান ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৭ রান।
তবে সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভারত উইকেট পেয়েছে চারটি। ভারতের হয়ে ফিফটি করেন সাঞ্জু স্যামসন (৪৫ বলে ৫৬)। ম্যাচের সেরাও তিনি। ১৫ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক শর্মা।
ভারতের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেননি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। আটজন বোলার ব্যবহার করেছেন তারা। দলের মূল পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিয়ের শীর্ষ বোলার বরুন চক্রবর্তীকে নামানো হয়নি। একাদশে জায়গা পান আর্শদিপ সিং ও হার্শিত রানা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই শুবমান গিলকে হারায় ভারত। এরপর ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৬০ রান করে তারা।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সাঞ্জু স্যামসন। তবে সেটি ছিল ধরিগতির, হাফসেঞ্চুরি করেন ৪১ বলে। ৪৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে ১৮তম ওভারে আউট হন তিনি।
হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। মাঝে ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন অক্ষর প্যাটেল। শেষদিকে তিলক ভার্মার ১৮ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় ভারত।
বল হাতে ওমানের শাহ ফয়সাল, জিতেন রামাণন্দি ও আমির কালিম দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন।
১৮৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওমানের শুরুটা হয় ধীরগতির। তারা পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৪ রান করে।
প্রথম উইকেটে ৫৬ রানের শুরুর জুটি গড়ে ওমান। কোনো পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে তাদের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটি এটি।
প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৬২ রান তোলে ওমান। এরপর রানের গতি বাড়াতে থাকেন আমির কালিম ও হাম্মাদ মির্জা। কালিম হাফসেঞ্চুরি করেন ৩৮ বলে।
৪৩ বছর বয়সী কালিম ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ বলে ৬৪ রান করেন। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৫১ রান করেন হাম্মাদ। দ্বিতীয় উইকেটে তারা দুজন ৯৩ রানের জুটি গড়েন। আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে যেটি ওমানের সর্বোচ্চ।
এই দুজনের ফিরে যাওয়ার পর ওমান আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। ভারত জয় পায় ২১ রানে।
ইনিংসের শেষ ওভারে একটি উইকেট তুলে নিয়ে এই সংস্করণে পেসারদের মধ্যে দ্রুততম (৬৪ ম্যাচ) একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন আর্শদিপ। তার চেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ উইকেট পেয়েছেন দুই স্পিনার রাশিদ খান (৫৩ ম্যাচ) এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬৩ ম্যাচ)।
সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।