এডারসন তুরস্কে, দোন্নারুম্মাকে দলে নিল ম্যানসিটি

ইউরোপিয়ান ফুটবলের দলবদলের শেষদিনে এসে কিছুটা চমকই দিল ম্যানচেস্টার সিটি। গুঞ্জন সত্যি করে ৮ বছরের সম্পর্কের ইতি টানল ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েসের সঙ্গে। সিটি ছেড়ে তুর্কি ক্লাবে নাম লেখালেন এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারাই নতুন ঠিকানা এডারসনের। তার জায়গায় পেপ গার্দিওয়ালা দলে ভিড়িয়েছে পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছে সিটি। কিন্তু কোনো ম্যাচেই মাঠে নামানো হয়নি এডারসনকে। তখন থেকেই মূলত গুঞ্জন ছিল, সিটি ছাড়ছেন ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক। তার পরিবর্তে গার্দিওয়ালা গোলবারের নিচে দাঁড় করিয়েছেন বার্নলি থেকে দলে ভেড়ানো তরুণ ইংলিশ গোলকিপার জেমস ট্রাফোর্ডকে। কিন্তু তিনি ভরসা জোগাতে পারেননি। বেশ কিছু ভুল করেছেন তিনি।
আগের মৌসুমে বাজে সময় পার করা গার্দিওয়ালা নতুন মৌসুমে কোনো শঙ্কা রাখতে চান না। তাই দলবদলের শেষ দিনে দোন্নারুম্মাকে দলে ভিড়িয়ে গোলবারের নিচে বিশ্বস্ত হাত খুঁজে নিলেন গার্দিওয়ালা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, ২৬ মিলিয়ন পাউন্ডে (৪২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) ৫ বছরের জন্য দোন্নারুমার সঙ্গে চুক্তি সেরেছে ম্যানসিটি। এরসঙ্গে আরও এক বছরের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সিটিতে যোগ দেওয়া উচ্ছ্বসিত দোন্নারুম্মা। সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া আমার জন্য বিশেষ এবং গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বসেরা প্রতিভাবানদের নিয়ে গড়া স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছি, যেখানে বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলা আছেন। এই ক্লাবে খেলতে পারা আমার জন্য বড় সুযোগ ও সম্মানের।’
২৬ বছর বয়সী দোন্নারুম্মা বেশ অভিজ্ঞ। এখন পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে ৪১২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ইতালি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৭৪ ম্যাচ। জাতীয় দলের হয়ে ২০২০ সালে জিতেছেন ইউরো। দোন্নারুম্মার জন্য সবশেষ মৌসুমটা ছিল আরও মধুর। পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান ছিল তার।
অন্যদিকে, ১৪ মিলিয়ন ইউরোতে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন। ২০১৭ সালে বেনফিকা থেকে সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। সিটিজেনদের হয়ে সবমিলিয়ে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছেন ৩৭২ ম্যাচ। জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপসহ ১৫টি মেজর ট্রফি।