ধর্ষণের অভিযোগে হাকিমির বিচার দাবি

২০২৩ সালে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় পিএসজি তারকা ফুটবলার আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগের বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রসিকিউটরা। অবশ্য বরাবরই হাকিমি অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি দাবি করেন, দুজনের সম্মতির ভিত্তিতেই সব হয়েছে।
তবে, হাকিমির বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের সাজা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ফরাসি প্রসিকিউটররা হাকিমির বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্য আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী বিচারককে। প্রসিকিউটর অফিস থেকে এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিজের আদেশ কাঠামোর ভেতরে থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন তদন্তে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর।’
২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক নারীকে নিজ বাসায় আমন্ত্রণ জানান হাকিমি। পরের দিন ওই নারী পুলিশ স্টেশনে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে হাকিমির সঙ্গে ওই নারী পরিচয় হয়। ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে নিজ বাসায় আমন্ত্রণ জানান হাকিমি। বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িও পাঠান হাকিমি। এরপর তার সম্মতি ছাড়াই হাকিমি তাকে স্পর্শ করেন এবং ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় এএফপি থেকে হাকিমির আইনজীবী ফ্যানি কলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রসিকিউটরের এই সিদ্ধান্তকে “অযৌক্তিক ও মামলার প্রেক্ষাপটে বোধগম্য নয়” বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই যেমন শান্ত ছিলাম, এখনও তেমনই আছি। যদি এই অনুরোধ মেনে নেওয়া হয়, আমরা অবশ্যই আপিলের সব পথ ব্যবহার করব।’
অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো এএফপিকে বলেছেন, ‘এই মামলার কোনো কিছুতেই অন্যায় দাবির আলামত নেই। আমার মক্কেল এ খবরে (হাকিমিকে বিচারের সন্মুখীন করা) অনেক স্বস্তি পেয়েছে।’
চলতি বছর প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পিএসজি। ফাইনালে ইন্টার মিলানেকে ৫-০ গোলে হারায় প্যারিসিয়ানরা। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন হাকিমি। ফাইনালেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন তিনি। সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রথম আরব দেশ হিসেবে মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল হাকিমির।