অলিখিত ফাইনালে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের লিড

সমীকরণের মারপ্যাঁচ থাকলেও হিসেবটা বাংলাদেশের জন্য একটু সহজ। জিতলে কিংবা ড্র করলেই শিরোপা ধরে রাখবে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে বাংলার মেয়েরা আজ সোমবার (২১ জুলাই) মাঠে নেমেছে অলিখিত এক ফাইনালে। কারণ, নেপাল জিতলে শিরোপা নিয়ে যাবে দলটি। এমন ম্যাচে পূর্ণ শক্তি নিয়ে একাদশ সাজিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১-০ গোলে।
প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৮ মিনিট পর্যন্ত। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন সাগরিকা। কেন তার অপেক্ষায় ছিল দল, তা বুঝিয়েছেন আবার। মাঝমাঠ থেকে স্বপ্না রাণীর বাড়ানো পাস পেয়ে ছুটতে দেরি করেননি সাগরিকা। একাই টেনে নেন বল, নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাংকে কাটালে সামনে কেবল জাল। সাগরিকা ভুল করেননি লক্ষ্যভেদ করতে।
এক গোলে এগিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। তবে, ১৯ মিনিটে বিপদে হতে পারত। গোল শোধের দারুণ সুযোগ পায় নেপাল। একবার বারপোস্ট আর পরপর দুবার বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিলি আক্তারের অসাধারণ সেইভ বঞ্চিত করে নেপালকে।
২০ মিনিটে সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে স্বপ্নার ক্রসে ফাঁকায় বল পান মুনকি আক্তার। শেষ মুহূর্তে নেপাল ডিফেন্ডার আনিশা রয় ক্লিয়ার করেন।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুদলই চেষ্টা করেছে গোল পেতে। বাংলাদেশকে একাধিকবার বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক মিলি। সাগরিকা-মুনকিরা নেপালের রক্ষণকে কাঁপিয়ে ব্যবধান বাড়ানোর দ্বারপ্রান্তে গেলেও গোলের দেখা মেলেনি।