সাগরিকার জাতীয় দলে খেলা নিয়ে যা বললেন বাটলার

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের অন্যতম কারিগর সাগরিকা। তিন ম্যাচ খেলে করেছেন ৮ গোল। তিন ম্যাচে তার রয়েছে দুইটি হ্যাটট্রিক। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। এত কিছুর পরও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি সাগরিকার।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের বাংলাদেশের নারীদের যে দল ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরেছে, তাদের ৭ জন ছিলেন সাফের এই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার পরও টুর্নামেন্টজুড়ে বাংলাদেশের যে খেলোয়াড় নজরে ছিলেন, তিনি হচ্ছেন সাগরিকা।
এতটা ভালো পারফরম্যান্সের পরও সাগরিকার জাতীয় দলে খেলাটা হচ্ছে না। তার পজিশনে যারা খেলছেন তারাও অনবদ্য। ঋতুপর্ণা, তহুরা, শামসুন্নাহারের মতো ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই তাকে দলে জায়গা পেতে হবে। তবে নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার সাগরিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।
২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী এশিয়ান কাপ। এছাড়াও জাতীয় দলের আরো ম্যাচ রয়েছে। ম্যাচগুলোতে সাগরিকাকে খেলানো নিয়ে নিয়ে বাটলারকে তার পরিকল্পনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘সাগরিকার পারফরম্যান্স অসাধারণ। অস্বীকার করব না, সে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার মতো। তবে, জাতীয় দলে ঋতুপর্ণা, তহুরা, শামসুন্নাহারের মতো স্ট্রাইকার আছে। এটা সত্যি, তার ভালো ভবিষ্যৎ আছে। তাকে সৎ থাকতে হবে।
টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের সঙ্গে এক গোল পান সাগরিকা। কিন্তু, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সেই ম্যাচে। মাথা গরম করার শাস্তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞা পান তিন ম্যাচের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গতকাল (২১ জুলাই) নেপালের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে মাঠে নেমেই নিজেকে ছাড়িয়ে যান সাগরিকা। করেছেন চার গোল।
গতকাল সাগরিকার অনবদ্য পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি নেপাল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ৪-০ গোলে পাওয়া বাংলাদেশের জয়ে প্রতিটি গোল এসেছে এই ফরোয়ার্ডের পা থেকে। যাদের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছিলেন, তাদের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাগরিকা জানান, জেদ থেকে এসেছে এমন বিধ্বংসী ছন্দ। দল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন, তা ভালো লাগা বাড়িয়েছে।