শৈশবের ক্লাবকে হারিয়ে চেলসিকে নিয়ে ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান তারকা

যে ক্লাবে বেড়ে ওঠা তাদেরই স্বপ্নভঙ্গ কারণ হয়ে দাঁড়ালেন হোয়াও পেদ্রো। তবে গোল করে উদযাপন করেননি, দুই হাত উঁচু করে ক্ষমাই চেয়েছেন দর্শকদের কাছে। গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। জোড়া গোল করে পেদ্রো এদিন চেলসির নায়ক আর শৈশবের ক্লাবের দুঃস্বপ্নের কারণ।
ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ব্রাইটন থেকে চেলসিতে এসে সরাসরি যোগ দিয়েছেন ক্লাব বিশ্বকাপে। তার অভিষেক হয়েছে আরেক ব্রাজিলিয়ান দল পালমেইরাসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তিনি আলো ছড়াতে পারেননি। তবে সেমিফাইনালে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েই চেলসিকে নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন।
নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে দারুণ এক গোল করে চেলসিকে এগিয়ে নেন পেদ্রো। ফ্লুমিনেন্স বক্সের বাঁ পাশের কাছাকাছি জায়গায় বল পান তিনি। সেখান থেকেই ডান পায়ের জোড়ালো শট নিলে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। ফ্লুমিনেন্স গোলরক্ষক ফাবিও ঝাঁপিয়ে পড়েও তা ধরতে পারেননি।
অসাধারণ এই গোলটি দেখে সতীর্থ পেদ্রো নেতো অবাক হয়ে মাথায় হাত দেন। তবে শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে গোল উদযাপন করেননি হোয়াও পেদ্রো।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফার্নান্দেজের পাস থেকে বল পেয়ে আরো একবার তার অসাধারণ নৈপুণ্য লক্ষভেদ করেন পেদ্রো। এই গোলের পরও তাকে উদযাপন করতে দেখা যায়নি। নির্ধারিত সময়ে এরপর আর গোল না হলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই ফাইনাল ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে চেলসি।
তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে চেলসি। ২০১২ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়াসের কাছে হেরে প্রথমবার তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। ২০২১ ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। তবে এবার তাদের প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান কোন ক্লাব। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ বুধবার (৯ জুলাই) রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।