ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে সূর্যবংশীর কীর্তি

বয়স মাত্র ১৪ হলেও ব্যাটিংয়ের তাণ্ডবে সবাইকে ছাড়িয়ে যান সূর্যবংশী। ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটেই একই ধারাবাহিকতাই খেলে যান, রান তোলেন দ্রুত। গতকাল বুধবার (২ জুলাই) ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে গড়েছেন আরও একটি কীর্তি।
নর্দাম্পটনের কাউন্ডি গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডের যুবাদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামে ভারতীয় যুবারা। সেখানে ২৭৭ দশমিক ৪১ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৩১ বলে ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস ইনিংস খেলেন বৈভব সূর্যবংশী। বিধ্বংসী এই ইনিংসটি ৯টি ছক্কা ও ৬টি চারে সাজানো ছিল। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র ২০ বলে।
ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডেই টি-টোয়েন্টির মেজাজে খেলেছেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ১৯ বলে ২৫২ দশমিক ৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৪৮ রানের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৩২ দশমিক ৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যবংশী।
১৪ বছর বয়সী ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটার ৮৬ রানের ইনিংস খেলার পথে ৯টি ছক্কা মেরে কীর্তি গড়েছেন। যুব ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার কীর্তিটা এখন তার। এর আগে সর্বোচ্চ ৮ করে ছক্কা মেরেছেন মানদীপ ও রাজ। মানদীপ ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ও রাজ ২০২২ সালে উগান্ডার বিপক্ষে।
আইপিএলের ২০২৫ আসরের মেগা নিলামের আগে এক কোটি ১০ লাখ রুপিতে রাজস্থান রয়্যালস তাকে দলে নেয়। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে জয়পুরে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন। ভারতীয় ক্রিকেটার মধ্যে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন সূর্যবংশী। টি–টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ (১৪ বছর ৩২ দিন) হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তিও এটিই।
যুবাদের তৃতীয় ওয়ানডেতে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে হয় ৮০ ওভার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৮ রান তোলে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অধিনায়ক টমাস রিউ অপরাজিত ৭৬ এবং ওপেনার বিজে ডকিন্সের ৬২ রানের ইনিংস খেলেন।
২৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট কারণে নেমে সূর্যবংশীর ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৮ ওভারেই ১১১ রান তুলে ফেলে ভারত। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় পায় ভারতীয় যুবারা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১ উইকেটে হেরেছিল তারা।