ব্যাটিং ধসে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ

দক্ষ নাবিকের মতো দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের দৃঢ়তায় জয় কেবল সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পুরনো রোগে আক্রান্ত হলো বাংলাদেশ। ব্যাটিং ধসে এখন হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। ৩ রানের মধ্যে হারিয়েছে ৫ উইকেট।
শান্ত রান আউট হলে ভাঙ্গে ৭১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। শান্ত ফেরেন ২৬ বলে ২৩ রানে। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান লিটন দাস। একই পথে হাটেন তাওহীদ হৃদয়ও। ফেরার আগে ৪ বলে ১ রান করেছেন তিনি। মাঝখানে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার তানজিদও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। ৬১ বলে ৬২ রান করে ফিরে দলের বিপদ আরও বাড়ান তিনি।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে কোনো রান খোলার আগেই।
শান্ত-তামিমের ব্যাটে ছুটছে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা খুব একটা বড় না। দেখে শুনে খেললে লক্ষ্যে পৌঁছানো খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা নয়। সেই কাজটি করে যাচ্ছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর নাজমুল হোসেন শান্ত। পারভেজ হোসেন ইমন দ্রুতই ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ বলে ৪৮ রান তুলে জয়ের লক্ষ্যে ছুটছেন এই দুই ব্যাটার।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ১৬৮ রান। হাতে বাকি আছে ৯ উইকেট আর ৩৭ ওভার।
এর আগে নিজের অভিষেক ম্যাচ রাঙাতে পারেননি ইমন। শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। আভিস্কা ফার্নান্দোর বলে কুশাল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ১৬ বলে ১৩ রান।
নতুন জুটিতে মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নামল বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিক্যঠাক মতো করে দিয়ে গেছে। মাঝারি রানের মধ্যে আটকে দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে। এখন বাকি কাজটা ব্যাটারদের। মাঝারি সেই লক্ষ্য তাড়ায় নেমেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। তানিজদ হাসান তামিমের সঙ্গী হয়েছেন অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাট ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তুলতে পেরেছিল লঙ্কানরা।
বোলিংয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় ৪ মাসের ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ। ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব ধরেছেন ৩ শিকার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম।