অধিনায়ক শান্ত ব্যর্থ নাকি সফল?

গুঞ্জন উঠেছিল দ্বিতীয় টেস্টের পর অধিনায়কত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কলম্বো টেস্ট শুরুর আগে মিডিয়াতে কথা বললেও এই বিষয়টি তখন খোলাসা করতে রাজি হননি তিনি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত টেস্ট সিরিজ শেষেই সরে দাঁড়ালেন অধিনায়কত্ব থেকে।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হঠাৎ করেই বিসিবির সিদ্ধান্ত আসে শান্তর জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজ হচ্ছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। এরপর অনেকটা অভিমান থেকেই হয়তো ছাড়লেন টেস্টের নেতৃত্ব। প্রেস কনফারেন্সে যদিও জানালেন যে, এক ড্রেসিংরুমে তিনজন অধিনায়ক থাকাটা কঠিন। তাই দেশের ক্রিকেটের ভালোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনটি সংস্করণেই বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে আসেন শান্ত। আজ (২৮ জুন) কলম্বো টেস্টে হার দিয়ে টাইগারদের অধিনায়ক হিসেবে তার যাত্রাটা শেষ হল। তাই অধিনায়ক হিসেবে তিনি সফল নাকি ব্যর্থ এই প্রশ্নটা এখন ভক্ত সমর্থকদের মনে আসতেই পারে।
টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে শান্ত ম্যাচ খেলেছেন ১৪টি। তার নেতেৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছে চারটি ম্যাচে, একটি ম্যাচে ড্র ও হেরেছে নয়টি ম্যাচে। প্রথম জয়টা আসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সবথেকে বড় অর্জন গত বছর পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়। আর চতুর্থ জয়টা এসেছে চলতি বছর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। একমাত্র ড্র করেছে সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে গলে প্রথম টেস্টে।
টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর যাত্রাটা শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষ দিকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজে তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বে বুঝে পাননি তিনি। টেস্টে ন্যূনতম ১০ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাতজন। তাদের মধ্যে শান্তর জয়ের হার সবচেয়ে বেশি (২৮.৫৭ শতাংশ)। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৪ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন মুশফিকুর রহিম। এরপর সাকিব আল হাসান (১৯), হাবিবুল বাশার (১৮), মুমিনুল হক (১৭), নাজমুল হোসেন (১৪), মোহাম্মদ আশরাফুল (১৩) ও খালেদ মাসুদ (১২)।
ওয়ানডেতে হঠাৎ করেই শান্তকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই। সাদা বলের এই সংস্করণে তার অধীনে ১৩ ম্যাচ খেলে টাইগাররা জিতেছে চারটি ম্যাচ। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ৫১.২৭ গড়ে ৫৬৪ রান করেছেন তিনি।
টি–টোয়েন্টিতে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২৪ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ১০টিতে। বাঁহাতি এই ব্যাটার ২২ ইনিংসে ব্যাট করে ১৮.৭৬ গড়ে করেছেন ৩৯৪ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট এই সংস্করণে ব্যাট হাতে ততটা উজ্জ্বল ছিলেন না শান্ত।