রিয়ালে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন ইয়ামাল

আগামী জুলাইয়ে আঠারোতে পা দিতে যাচ্ছেন লামিন ইয়ামাল, ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন তারকাখ্যাতি। লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালক দারুণ এক মৌসুম কাটিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী মৌসুমে মাঠে নামতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসির আইকনিক ১০ নম্বর জার্সি গায়ে। মৌসুম শেষে কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে ২০৩১ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন ইয়ামাল। ক্লাবটিকে যেন নিজের মধ্যেই ধারণ করেন তিনি।
বার্সেলোনাকে ধারণ করা মানে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এতটাই যে মাঠের বাইরে দুদলের সম্পর্ক হয়ে ওঠে তিক্ত। তখনও তখনও সেটি উস্কে দেন খেলোয়াড়রা। যেমন দিলেন ইয়ামাল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পার্তিদাসো দে কোপেতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা উঠলে উঠে আসে রিয়াল মাদ্রিদের নাম। ভবিষ্যতে কখনও লস ব্লাংকোদের হয়ে খেলার সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে ইয়ামালের স্পষ্ট জবাব, এটি অসম্ভব।
রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে ইয়ামাল বলেন, ‘আমি কখনও রিয়াল মাদ্রিদে যাব? কোনোভাবেই না। এটি অসম্ভব।’
সমর্থকদের অনেকের হয়ত লুইস ফিগোর কথা মনে আছে। ২০০০ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হন, এমনকি তার দিকে শূকরের মাথা ছুঁড়ে মারা হয়েছিল। সমর্থকদের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই ক্লাবের খেলোয়াড়দেরও নিজেদের ক্লাবের প্রতি টানটা একটু বেশিই থাকে, এমনকি এই দুটি ক্লাব নিজেদের মাঝে খেলোয়াড় কেনাবেচা করে না। যে কারণে হয়তো বার্সার ঘরের ছেলে ইয়ামালের ভাবনাতে ভবিষ্যতে রিয়ালে যাওয়ার বিষয়টি অসম্ভব মনে হয়েছে।
বয়স ১৮ না হলেও বার্সেলোনার মূল দলের জার্সি গায়ে ১০০-র বেশি ম্যাচ খেলেছেন ইয়ামাল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে লা লীগায় ৯ গোল ও ১৩ এসিস্ট করে দলকে লিগ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮ গোলে অবদান রেখেছেন। এই মৌসুমে কোপা দেল রে ও লা লিগা জেতা হলেও চ্যম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বাদ পড়ায় ট্রেবল জেতা হয়নি।
ইয়ামাল অবশ্য বার্তা দিয়েছেন আগামী মৌসুমে প্রবলভাবে ফিরে আসার। স্প্যানিশ এই তারকা বলেন, ‘আমি বছর ধরে ধরে উন্নতি করব। পরের বছর আমি আরও বেশি গোল করব, বেশি সহায়তা করব এবং বর্তমানের চেয়ে শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান হব।’