তৃপ্ত-ক্লান্ত ফেল্পস

আরেকবার বিজয়নিশান ওড়ালেন মাইকেল ফেল্পস, জিতে নিলেন রিও অলিম্পিকে চতুর্থ আর সব মিলিয়ে ২২তম স্বর্ণ। আরেকটি চমকপ্রদ কীর্তি গড়ে মার্কিন সাঁতার কিংবদন্তি আনন্দিত, তৃপ্ত। তবে কিছুটা ক্লান্তিও ভর করেছে তাঁর শরীর আর মনে।
সুইমিংপুলে নেমে ফেল্পস একের পর এক এমন সব কীর্তি গড়ে চলেছেন, যা কোনোদিন ভাঙবে কি না সন্দেহ। অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আর পদক জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন চার বছর আগে লন্ডনে। আজ সকালে গড়লেন আরেকটি কীর্তি। ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে জিতে নিলেন টানা চতুর্থ অলিম্পিক শিরোপা। প্রথম সাঁতারু হিসেবে টানা চারটি অলিম্পিকে একই ইভেন্টে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব তাঁরই।
রিওতে চতুর্থ শিরোপা জয়ের পথে ফেল্পসের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু রায়ান লক্টি। এই ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ডের মালিক লক্টি অবশ্য ফাইনালে সুবিধা করে উঠতে পারেননি, পঞ্চম হয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন পুল থেকে।
অন্যদিকে ফেল্পস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। রুপাজয়ী জাপানের কোসুকে হাগিনোর চেয়ে প্রায় দুই সেকেন্ড আগে পুলের দেয়াল ছুঁয়েছেন তিনি। খেলাধুলার মহাযজ্ঞে ক্যারিয়ারের ২৬তম পদক জিতে ফেল্পস উচ্ছ্বসিত, ‘অনেক পদক জিতলাম। তবে প্রতিদিনই স্বপ্ন সত্যি করার লক্ষ্য নিয়ে আমি বেঁচে থাকি। ছেলেবেলায় কেউ কখনো করতে পারেনি এমন কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম। জীবনটা দারুণ উপভোগ করছি।’
নিজের অর্জন নিয়ে তৃপ্ত ঠিকই, তবে কিছুটা হলেও ক্লান্ত ৩১ বছর বয়সী ফেল্পস, ‘জীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমার সারা শরীরে ব্যথা, দুই পায়ে ব্যথা। আমি ক্লান্ত।’