টানা দ্বিতীয় জয়ে শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১২৩ রানের। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ের কম ফিল্ডিং করায় ওপেনিংয়ে নামতে পারলেন না ক্রিস গেইল। তাঁর জায়গায় শুরুতে ব্যাট করতে আসা আন্দ্রে ফ্লেচারও অবশ্য অভাবটা বুঝতে দেননি খুব একটা। গেইলের মতো বিধ্বংসী না হলেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন এই ডানহাতি ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে শীর্ষস্থান আরো পাকাপোক্ত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শতরানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয় এনে দিয়েছিলেন গেইল। আজ তাঁর পরিবর্তে ওপেন করতে নামা ফ্লেচার ৬৪ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে প্রায় একাই জিতিয়েছেন। ম্যাচ জেতানো এই ইনিংস খেলার পথে মেরেছেন ছয়টি চার ও পাঁচটি ছয়। ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১২৩ রান সংগ্রহ করে ফেলেছে ক্যারিবীয়রা। টানা দুই জয়ের পর চার পয়েন্ট নিয়ে প্রথম গ্রুপের শীর্ষেও আছে তারা। দুই ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দুই পয়েন্ট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উইন্ডিজের জয়ের ভিত্তিটা অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে যথার্থ ছিল, তা ভালোমতোই প্রমাণ করেছেন স্যামুয়েল বদ্রি, সুলিমান বেনরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দুই স্পিনারের মাত্র ৪৬ রান সংগ্রহ করতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল পাঁচটি উইকেট। শেষ পর্যায়ে ২৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে স্কোর কিছুটা সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে গেছেন থিসারা পেরেরা। লঙ্কানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রানের ইনিংসটি এসেছে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ব্যাট থেকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে চার ওভার বল করে মাত্র ১২ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন বদ্রি। কোনো উইকেট না পেলেও চরম কৃপণ বোলিং করে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চাপের মুখে ফেলেছেন বেন। চার ওভার বল করে তিনি দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান। দুটি উইকেট পেয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো।