হতাশার হারে বাংলাদেশের বিদায়

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস রচনা করেছিল বাংলাদেশ। স্বপ্ন ছিল আরো সামনে যাওয়ার। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের সব ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে হতাশ হতে হলো বাংলাদেশকে। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তিন উইকেটের জয় দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আট বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেন গেছে ক্যারিবীয়রা।
২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারে ৪৪ রান জমা করে ঝড়ো সূচনা করেছিলেন দুই ওপেনার পোপ ও ইমলাচ। তবে প্রথম সাত ওভারের মধ্যে দুজনকেই আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। পঞ্চম ওভারে ইমলাচকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ১২ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান ইমলাচ। তবে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা হয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ওপেনার পোপ। তাঁকে সাজঘরে ফেরাতেও অবশ্য বেশি সময় নেননি মিরাজ; সপ্তম ওভারে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন পোপকে। ২৪ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। দুই ওপেনারকে আউট করার স্বস্তি অবশ্য খুব বেশিক্ষণ থাকেনি। তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক হেটমেয়ার ও কার্টি। ২০তম ওভারে ২২ রান করা কার্টিকে আউট করেছেন সালেহ আহমেদ শাওন। ২৮তম ওভারে ৬০ রান করা হেটমেয়ারকে আউট করে আবার বাংলাদেশ শিবিরে আশা জাগিয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। অধিনায়কের বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান সংগ্রহের গতিও কমে আসে অনেকখানি। ৩৮তম ওভারে ক্যারিবীয়দের জোড়া ধাক্কা দিয়ে দুইটি উইকেট তুলে নেন সালেহ আহমেদ শাওন। কিন্তু উইকেটের অপর প্রান্তে স্প্রিঙ্গার ছিলেন অবিচল। ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মিরাজের ৬০, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ৩৬, জয়রাজ শেখের ৩৫ রানের ইনিংসগুলোর সুবাদে স্কোর বোর্ডে ২২৬ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ।