মিরাজের অর্ধশতকে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৮৮ রান সংগ্রহ করতেই চার উইকেট হারিয়ে পড়েছিল চাপের মুখে। তবে যথার্থ অধিনায়কের মতো শক্ত হাতে দলের হাল ধরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর দারুণ অর্ধশতকে ভর করেই বাংলাদেশ পেয়েছে লড়াইয়ের পুঁজি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ছুড়ে দিয়েছে ২২৭ রানের চ্যালেঞ্জ।
১১৩ রানে পাঁচ উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ৭৪ বলে ৬০ রানের দারুণ অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছেন মিরাজ। এবারের যুব বিশ্বকাপে এটি ছিল তাঁর তৃতীয় অর্ধশতক। সাইফুদ্দিনের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ১০ রানের মধ্যে ৯ রানই এসেছিল অতিরিক্ত থেকে। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে চেমার হোল্ডারের শর্ট বলে ব্যাট ছুঁইয়েছিলেন পিনাক। থার্ড ম্যানে সেটা তালুবন্দি করতে কোনো ভুল করেননি গিড্রন পোপ। শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে পিনাককে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আলজারি জোসেফের বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন সাইফ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১০ রান। তৃতীয় উইকেটে ৩১ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জয়রাজ শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ১৩তম ওভারে ১১ রান করে শান্তও ফিরেছেন সাজঘরে। চতুর্থ উইকেটে জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন জয়রাজ। কিন্তু এই জুটিটাও খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি তাঁরা। ২২তম ওভারে ৩৫ রান করে জয়রাজও ধরেছেন সাজঘরের পথ। ২৮তম ওভারে জাকির আউট হয়েছেন ২৪ রান করে। ১১৩ রানে পাঁচ উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে মিরাজ ও সাইফুদ্দিনের ৮৫ রানের জুটির সুবাদেই বাংলাদেশ পেয়েছে সম্মানজনক সংগ্রহ। একেবারে শেষপর্যায়ে মোসাব্বেক হোসেনের ১৪ ও মেহেদি হাসান রানার ১০ রানের ছোট ইনিংস দুটির সুবাদে স্কোরবোর্ডে ২২৬ রান জমা করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কেমো পল। দুটি করে উইকেট গেছে সামার স্প্রিঙ্গার ও চেমার হোল্ডারের ঝুলিতে।
ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহ গড়তে না পারায় এবার জয়ের জন্য বোলারদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশের সমর্থকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের স্পিন দুর্বলতার সুযোগই হয়তো নিতে চাইবেন মিরাজরা। যুব বিশ্বকাপের ঠিক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলকে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। সেই সিরিজে স্পিনাররাই নিয়েছিল ২১ উইকেট।