যুব বিশ্বকাপে দুই হাতে বল করে চমক!

উদ্ভাবনী ক্ষমতায় ব্যাটসম্যানদের অত্যাশ্চর্য শট জন্ম দেওয়া নতুন কিছু নয়। সুইচ হিট করার সময় ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেনকে দেখলে ডানহাতি নয়, বরং বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলে মনে হতে পারে যে কারো। বোলাররাই বা বসে থাকেন কেন! ডান-বাম দুই হাতেই বল করার বিরল ক্ষমতা ইদানীং দেখা যাচ্ছে কারো-কারো মধ্যে। কামিন্দু মেন্ডিস যেমন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই হাতেই বল করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই স্পিনার।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ইনিংসের ২৭তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। ম্যাচে প্রথমবারের মতো বল করতে এলেন কামিন্দু। ওভার শুরু করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার হিসাবে। ওভারের তৃতীয় বলে উমায়ের মাসুদ রানআউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সালমান ফাইয়াজ। ব্যস, আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে চতুর্থ বলটি অফব্রেক করে বসলেন ১৭ বছর বয়সী কামিন্দু! বিরল এক দৃশ্যের সাক্ষী হল ক্রিকেটভক্তরা। চার ওভার বল করে ২১ রান দিলেও কামিন্দু কোনো উইকেট পাননি। পরে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানও করেছেন তিনি। তবে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ‘সব্যসাচী’ বোলার অবশ্য আগেও দেখেছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে দুই হাতে বল করেছিলেন কামিন্দুরই পূর্বসূরী শ্রীলঙ্কার হাশান তিলকরত্নে।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটেও একজন ‘সব্যসাচী’ বোলারের আবির্ভাব হয়েছে সম্প্রতি। গত মাসে ভারতের সৈয়দ মুশতাক আলী টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় দুই হাতেই বল করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অক্ষয় কার্নেওয়ার। এবার এমন বিরল ক্ষমতার আরেকজন স্পিনারের দেখা পেল ক্রিকেট-দুনিয়া। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে যার বোলিং স্টাইলের জায়গায় লেখা, ‘ডানহাতি অফব্রেক, বাঁহাতি স্লো অর্থোডক্স’!