ফিফা সভাপতি নির্বাচনে নেই প্লাতিনি

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মিশেল প্লাতিনি। হারিয়েছেন ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সভাপতি পদও। ফিফা সভাপতি পদেও দেখা যাবে না ফ্রান্সের এই কিংবদন্তি ফুটবলারকে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ফিফা সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে ফিফার সভাপতি নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো জয়ী হয়েছিলেন সেপ ব্ল্যাটার। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিন পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে বিস্মিত করেছিলেন তিনি। ব্ল্যাটারের উত্তরসূরি হিসেবে ফিফার সর্বোচ্চ পদে প্লাতিনিকেই দেখা যাবে—এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল ফুটবল-বিশ্বের আনাচে-কানাচে। কিন্তু ব্ল্যাটারের পাশাপাশি প্লাতিনির নামও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক।
আপাতত ৬০ বছর বয়সী প্লাতিনির লক্ষ্য নিজের নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা। বিখ্যাত ফরাসি দৈনিক লেকিপের কাছে সেই প্রত্যয় জানিয়ে ফ্রান্সের ১৯৮৪ ইউরো জয়ের নায়ক বলেছেন, ‘ফিফা সভাপতি নির্বাচনে আমি দাঁড়াচ্ছি না। আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। ভোটারদের সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা বা অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করার মতো সময় আমার হাতে নেই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আমি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নিয়োজিত করছি।’
২০১১ সালে অবৈধভাবে ২০ লাখ ডলার লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্ল্যাটার ও প্লাতিনিকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফার নৈতিকতাবিষয়ক কমিটি। তবে দুর্নীতির অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন প্লাতিনি। নিজেকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য তিনি এখন ক্রীড়াবিষয়ক বিশেষ আদালতে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন।
প্লাতিনি সরে দাঁড়ানোয় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সভাপতি পদে পাঁচজনের মধ্যে লড়াই হবে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রধান শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফা, দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিবিদ টোকিও স্যাক্সওয়েল, ফিফার সাবেক সহসভাপতি জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন, উয়েফার মহাসচিব জিয়ান্নি ইনফ্যানটিনো ও ফিফার সাবেক সহকারী সাধারণ সম্পাদক জেরোম শঁপ্যানিয়ার মধ্য থেকে একজনকে দেখা যাবে ব্ল্যাটারের আসনে।