ডালমিয়ার প্রতি সাবের হোসেনের গভীর শ্রদ্ধা

১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার সূচনা। তিন বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে খেলার ছাড়পত্র পেতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে সাহায্য করেছিলেন আইসিসির সে সময়ের সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ক্রিকেটের বিশ্বায়ন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। এই মহান ক্রিকেট সংগঠকের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করেছেন।
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাবের হোসেন রোববার রাজধানীর কাকরাইলে তাঁর কার্যালয়ে সংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা সংগঠকদের তালিকায় প্রথম সারিতেই থাকবে জগমোহন ডালমিয়ার নাম। ক্রিকেটের আজ যে বিশ্বায়ন হচ্ছে, তা আইসিসির এই সাবেক সভাপতিরই চিন্তার ফসল। ক্রিকেটের প্রসার-প্রচারে তিনি উদ্যোগী ছিলেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।’
ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ডালমিয়ার সঙ্গে সাবের হোসেনের বেশ সখ্য ছিল। বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে, এমন স্বপ্নও দেখতেন ডালমিয়া। এ প্রসঙ্গে সাবের হোসেনের মন্তব্য, ‘তিনি সবসময় আমাদের ক্রিকেটের সাফল্য কামনা করতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ একদিন বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, একদিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে। গত এক বছরে বাংলাদেশ দলের অসাধারণ সাফল্যে তিনি নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছিলেন।’
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পেছনে ডালমিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে সাবের হোসেন বলেন, ‘১৯৯৮ সালে উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপের (মিনি বিশ্বকাপ) আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করে তিনিই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করে দিয়েছেন। সে বছর ঢাকায় বন্যা হয়েছিল। তাই ওই টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে একটা শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বাংলাদেশে এসে ঢাকাকে ভেন্যু মনোনীত করে সব শঙ্কা দূর করে দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছি। আর তাতে ডালমিয়ার বড় ভূমিকা ছিল।’
সাবের হোসেনের আশা, বাংলাদেশের ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ডালমিয়াকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করবে বাংলাদেশ সরকার, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ২০০০ সালে পাওয়া টেস্ট স্ট্যাটাস আমাদের অন্যতম জাতীয় অর্জন। সারা দেশের মানুষকে একই কাতারে এনেছে এই টেস্ট স্ট্যাটাস। যার অন্যতম রূপকার ডালমিয়া। আশা করি বাংলাদেশ সরকার তাঁর অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি দেবে।’