দারিদ্র্যকে জয় করা লুকাকুর অবিশ্বাস্য উত্থান!

বিশ্বকাপের আসর থেকে বিদায় নিয়েছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার ডি সিলভার মতো বড় তারকারা। মূলত বিশ্বকাপে ফুটবলপ্রেমীদের নজরে ছিলেন তাঁরাই। তবে তাঁদের ছাপিয়ে এবারের আসর যেন নতুনদের বিশ্ববাসীর সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে উন্মুখ হয়ে আছে রাশিয়া। তেমনই একজন বেলজিয়াম তারকা রোমেলু লুকাকু, যিনি দারিদ্র্যকে জয় করে জীবনের মঞ্চে পরেছেন বিজয়ীর মুকুট।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেই চমৎকার খেলেছেন লুকাকু। মূল মঞ্চ শুরুর আগেই ১১টি গোলের দেখা পাওয়া এই খেলোয়াড়ের জীবনটা শুরু হয়েছিল দারিদ্র্যের কশাঘাতে। প্রতিনিয়ত খাবারের অভাব, বিদ্যুৎ সংকট ও সংসারে টানাটানি দেখেই বড় হয়েছেন এই তারকা। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পেশাদার ফুটবল দিয়েই নিজেকে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করবেন। তিনি পেরেছেনও। বছরে ৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইউরো আয় করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তারকা জীবনকে বদলে ফেলেছেন। দারিদ্র্য থেকে এখন যোজন যোজন দূরত্বে বসবাস এই তারকার।
লুকাকু বলেন, ‘রাস্তার পাশের বেকারি থেকে আমার মা ধারে রুটি নিয়ে আসত। দোকানদার আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে চিনত। তাই সে ধারে দিতে দ্বিধা করত না। সোমবার ধারে এনে শুক্রবার টাকা পরিশোধ করে দিত। আমি জানি, আমাদের কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে। কিন্তু যখন আমার মা দুধের সঙ্গে পানি মিশিয়ে আমাদের খেতে দিত, তখন সবকিছু মনে হয় শেষ হয়ে যেত। আপনি বুঝতে পারছেন, আমি কী বলছি? আমাদের সপ্তাহে সাত দিন খাওয়ার মতো পর্যাপ্ত দুধ থাকত না। এমনই ছিল আমি ও আমার পরিবারের জীবন।’
বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের হয়ে এবার লুকাকু দারুণ খেলছেন। চার ম্যাচ খেলে গোল পেয়েছেন চারটি, একটি গোলে রেখেছেন অবদানও। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট বিশ্চিত করেছে লুকাকুর বেলজিয়াম।